1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তিতে সই করল বাংলাদেশ ও রাশিয়া

১৪ মে ২০০৯

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে নীতিগত দ্বিপাক্ষিক পারমাণবিক সহযোগিতার একটি চুক্তি এবং এদেশে প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে পৃথক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Hpvh
ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

বুধবার ঢাকার সচিবালয়ে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সহযোগিতা চুক্তিটিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাজমুল হুদা খান এবং রুশ ফেডারেশনের পক্ষে সে দেশের রাষ্ট্রীয় এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) উপ-পরিচালক নিকোলাই স্পাসকি৷

একই সময় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেন এবং রোসাটমের উপ-পরিচালক স্পাসকি৷ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয় চূড়ান্ত হলে পরে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ায় গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করবে৷

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ঢাকাস্থ রুশ রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন৷ প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল৷ আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ৷ নিকোলাই স্পাসকি বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার বন্ধুপ্রতিম দেশ৷ শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহারে এই চুক্তি সহায়ক হবে৷

জানা যায়, পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে ২৯২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে ২৬০ একর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এবং ৩২ একর আবাসিক এলাকার জন্য৷ ১৯৮০ সালে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়৷ ১৯৯৯ সালে সরকার এখানে ৬০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেয়৷ বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পরমাণু শক্তির মাধ্যমে অর্জন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে৷ আমদানি নির্ভর জ্বালানির ক্ষেত্রে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি খরচ সবচেয়ে কম৷

জাতিসংঘ ২০০৭ সালের জুন মাসে বাংলাদেশকে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেয়৷ আগামী ২০৫০ সাল পর্যন্ত ৮টি উন্নয়নশীল দেশকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে জাতিসংঘ৷ যে কোনো দেশ ইচ্ছা করলেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে না৷

আন্তর্জাতিক গবেষকরা সব দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন৷ বিশ্বে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৪ শতাংশ উৎপাদিত হয় পরমাণু শক্তি থেকে৷ বর্তমানে বিশ্বে ৪৩৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে৷ এর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি, ৫৯টি৷ ফ্রান্সের মোট বিদ্যুতের ৭৯ শতাংশ আসে পরমাণু শক্তি থেকে৷

বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক