নির্বাচনে ব্যবহার করা কিছু গান
জনপ্রিয় বলে এই গানগুলো প্রচারের কাজে ব্যবহারের সুযোগ অনেকেই ছাড়তে চান না৷ তাই নির্বাচনি প্রচারেও ব্যবহার করা হয়েছে এ সব গান৷ ফলে বিচিত্র সব কাণ্ডও ঘটেছে৷
ইউ টু: বিউটিফুল ডে
আয়ারল্যান্ডের ব্যান্ড ইউ-টু’র কিছু গান বেশ রাজনেতিক বক্তব্যসমৃদ্ধ৷ ২০০৫ সালে ব্রিটেনের সংসদ নির্বাচনে লেবার পার্টি তাদের এমন একটি গানই ব্যবহার করেছিল৷ ‘বিউটিফুল ডে’ শিরোনামের সেই গানটি ব্যবহারের আগে অনুমতিও নেয়া হয়নি৷ ইউ-টু’ও তাতে বিশেষ দোষের কিছু দেখেনি৷ ক্ষতিপূরণের মামলাই করেনি তারা৷
এমজিএমটি: কিডস
২০০৯ সালে ফ্রান্সের নির্বাচনে নিকোলা সার্কোজির নির্বাচনি প্রচারের প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বাজানো হয়েছিল এমজিএমটি ব্যান্ডের ‘কিডস’ শিরোনামের গানটি৷ অনুমতি না নিয়ে প্রচার করে পরে অবশ্য প্রতিকী ক্ষতিপূরণ হিসেবে এমজিএমটি-কে ১ দশমিক ২৫ ইউরো দিয়েছিল সার্কোজির দল৷ তারপরও ঝামেলা এড়ানো যায়নি৷ ক্ষতিপূরণ মামলা জিতে ৩০ হাজার ইউরো আদায় করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের রক ব্যান্ড এমজিএমটি৷
রোলিং স্টোনস: অ্যানজি
রোলিং স্টোনস চাইলে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-কেও হয়ত মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হতো৷ ২০০৫ সালের নির্বাচনে রোলিং স্টোনসের ‘অ্যানজি’ শিরোনামের গানটি সিডিইউ সমর্থকদের মুখে মুখে ফিরেছে৷ কিন্তু রোলিং স্টোনস মামলা না করায় জার্মানির রাজনীতির ‘অ্যানজি’ আঙ্গেলা ম্যার্কেল বা তাঁর দলকে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হয়নি৷
আন্দ্রেয়া ভানটিনি: মেনো মেল চে সিলভিও চে
২০০৮ সালে ইটালির নির্বাচনে অবশ্য জনপ্রিয় কোনো ব্যান্ড বা পপ স্টারের গান বাজানো হয়নি৷ সিলভিও বার্লুসকোনির গুণকীর্তনে বাজানো হয়েছিল ইটালির আন্দ্রেয়া ভানটিনির গান ‘মেনো মেল চে সিলভিও চে’৷ ‘মেনো মেল চে সিলভিও চে’ কথার অর্থ ‘সিলভিওর জন্য ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ৷’ সেবার নির্বাচনে জিতে ইটালির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বার্লুসকোনি৷
আডেলে: রোলিং ইন দ্য ডিপ
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আডেলের গানের ভক্ত৷ তাই ট্রাম্পের প্রতিটি নির্বাচনি প্রচারানুষ্ঠান বা ভাষণের আগে আডেলের ‘রোলিং ইন দ্য ডিপ’ গানটি বেজেছে৷ আডেলের অনুমতি ছাড়াই বাজানো হচ্ছে গানটি৷