1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর অ্যামেরিকা

নির্বাচন অমীমাংসিত হলে অ্যামেরিকায় যা হবে

২ নভেম্বর ২০২০

করোনা সংকটের ফলে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যবারের চেয়ে বেশি ডাকযোগে বা ‘মেল-ইন' ভোট পড়েছে৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি কারণে এবারের নির্বাচন ব্যতিক্রমী৷

https://p.dw.com/p/3kloH
US Wahl 2020 Endspurt der Kampagne
ছবি: Brandon Bell/Reuters

প্রতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতে শুরু করে ভোটগ্রহণের রাত থেকেই৷ পরের দিন পরাজিত পক্ষের বক্তব্যের মাধ্যমেই শিলমোহর পড়ে জনগণের রায়ে৷ কিন্তু করোনা সংকটের মধ্যে সংগঠিত এবারের নির্বাচন নানা দিক থেকে ভিন্ন৷

ইউএস ইলেকশনস প্রজেক্ট জানাচ্ছে, ছয় কোটি অ্যামেরিকান ভোটার এবার ডাকযোগে বা ‘মেল-ইন' ভোট দিয়েছেন, যা অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক বেশি৷ ডাকযোগে ভোটদান সম্পর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অসন্তুষ্টি থাকলেও মহামারির পরিস্থিতিতে তা এড়ানো যায়নি৷

অন্যদিকে, এই ডাকযোগে ভোটদানের কারণেই পিছিয়ে যেতে পারে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর্ব, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ওয়াশিংটন পোস্টের একটি সমীক্ষা জানায় যে, মার্চে প্রাথমিক পর্যায়ের নির্বাচনের পর গড়ে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের চারদিন সময় লেগেছিল ভোটগণনা শেষ করতে৷ কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এডি গোল্ডেনবার্গের মতে, অ্যামেরিকার নির্বাচনি ব্যবস্থাপকেরা এক্ষেত্রে যথেষ্ট পটু এবং প্রাথমিক নির্বাচন থেকে শিক্ষাও নিয়েছেন৷ তবুও, জনমত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কোনো ফাঁক না রাখতে পেনসিলভ্যানিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনার মতো রাজ্যগুলিতে ডাকযোগে ভোটগ্রহণের শেষ তারিখ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷

গোল্ডেনবার্গের মত, ‘‘কিছু রাজ্যের ফলাফলের ঝোঁক ভোটগ্রহণের রাতে বোঝা গেলেও বেশ কিছু রাজ্যে এই ধারা তখনই স্পষ্ট হবে না৷''

যুগ্ম বিজয়ী: কীভাবে মীমাংসা?

এবারের নির্বাচন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে চারশরও বেশি মামলার সাথে, যা মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম৷ আলোচনায় রয়েছে ডাকযোগে ভোটগ্রহণের কারণে যুগ্ম বিজয়ী ঘোষণার সম্ভাবনাও৷ আলোচিত হচ্ছে এবারের নির্বাচনে ২০০০ সালের পুনরাবৃত্তি, যখন বুশ বনাম গোর লড়াইয়ের ফলাফল এসেছিল সর্বোচ্চ আদালত থেকে৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না যে এবার সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্ধারণের বিষয়টি যাবে৷

পাশাপাশি, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পর কোনো স্পষ্ট বিজয়ী না উঠে আসলে সেক্ষেত্রে নবনির্বাচিত হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যরা ৬ জানুয়ারির মধ্যে ঠিক করে থাকেন প্রেসিডেন্ট কে হবেন৷ ২০ জানুয়ারির মধ্যেও যদি কোনো মীমাংসা না হয়, সেক্ষেত্রে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট বা স্পিকারকেই প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার নিয়ম রয়েছে৷ যদিও এই ধারায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উনিশ শতকের পর আর হয়নি৷

মাথা পেতে জনগণের রায়গ্রহণ?

জনগণের রায় ট্রাম্পের বিপক্ষে গেলে সেই রায় ট্রাম্প মেনে নেবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ সেপ্টেম্বর মাসে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা দেখব কী হয়''৷ নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা যদিও মনে করছেন যে, ফলাফল স্পষ্ট থাকলে জল অতদূর গড়াবে না৷

গোল্ডেনবার্গের মতে, আলোচিত ‘মেল-ইন' ভোটগ্রহণ ও একাধিক আইনি জটিলতায় ঘেরা এবারের নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনাচরমে রয়েছে৷ তাই জনতার রায় মেনেই ক্ষমতার হস্তান্তর হবে বলে তার বিশ্বাস৷

স্যাম বেকার/এসএস