1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাদিয়াকে জেলে পাঠাবেন না: আইনজীবী

২৬ আগস্ট ২০১০

পপ তারকা নাদিয়া বেনেইসার অপরাধ গুরুতর৷ অন্তত জার্মান আইনে৷ জেনে-বুঝে এইডসের মতো রোগ ছড়িয়েছেন তিনি৷ সাজা প্রায় নিশ্চিত৷ এখন নাদিয়ার প্রতিপক্ষের আইনজীবীও আদালতে আবেদন করেছেন, সাজা হলেও তা যেন হয় নামমাত্র৷

https://p.dw.com/p/Owc7
Song, Nadja Benaissa, Germany, Singer, HIV, AIDS, পপ, তারকা, নাদিয়া, বেনেইসা, জার্মান, এইডস
পপ তারকা নাদিয়া বেনেইসাছবি: picture-alliance/dpa

এইডস ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে এখন কারাগারে ‘নো এঞ্জেলস' তারকা নাদিয়া৷ বিচার প্রায় শেষের পথে৷ আজ বৃহস্পতিবারই রায় দেবে ডার্মস্টাটের আদালত৷ সাজা যে এড়ানো যাবে না, তা বুঝতে পারছেন নাদিয়ার আইনজীবী অলিভার ভালাশ৷ তাই গতকাল বুধবার শুনানিতে আদালতে তাঁর আবেদন ছিল একটু ভিন্ন রকম৷

অলিভার আবেদন করেছেন, আদালত নাদিয়াকে দণ্ড দিলেও তা যেন হয় কাগজে কলমে৷ কারাগারে তাকে যেন পাঠানো না হয়৷ নাদিয়ার সাজা যেন স্থগিত থাকে৷ এর মানে হলো, এই ধরনের অপরাধ প্রথমবারের মতো করায় নাদিয়া যেন করুণা পায়, তাই আইনজীবীর চাওয়া৷ আইনজীবী অলিভার আদালতকে বলেছেন, নাদিয়া তার অপরাধের কথা অকপটে স্বীকার করেছে৷ ক্ষমাও চেয়েছে৷ এই বিষয়টি আদালত রায়ের ক্ষেত্রে যেন বিবেচনা করেন৷ নাদিয়ার মাধ্যমে এইডসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিটির আইনজীবীও আদালতে বলেছেন, নাদিয়াকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যায়৷ তবে তা যেন স্থগিত রাখা হয়৷ তবে নাদিয়ার আইনজীবী সাজা স্থগিতের আবেদন করলেও দণ্ডের মেয়াদকালের বিষয়ে কিছু বলেননি৷

নাদিয়া এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত, তা তিনি জানতেন৷ আর সে অবস্থায়ই কোনো ধরনের প্রতিরোধক না নিয়েই তিনজনের শয্যাসঙ্গী হয়েছিলেন তিনি৷ নিজের অবস্থাটি তাদের বলেনওনি৷ ওই তিনজনের মধ্যে একজন এখন এইচআইভি আক্রান্ত৷ অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার হন ২৮ বছর বয়সি নাদিয়া৷ তার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ আরো চারটি শারীরিক ক্ষতি সাধনের চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে৷ এই জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা হতে পারে এই ‘নো এঞ্জেলস' তারকার৷

নাদিয়ার মাধ্যমেই যে এক ব্যক্তির দেহে এইডস ছড়িয়েছে, তা প্রমাণে গতকাল আদালতে হাজির করা হয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককেও৷ নাদিয়া এর আগে আদালতে বলেন, এইচআইভি সংক্রমণের জন্য তিনি দুঃখিত৷ ২০০০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তিন ব্যক্তির সঙ্গে আলাদাভাবে অন্তত পাঁচবার যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন নাদিয়া৷ এদের কাউকেই তিনি বলেননি যে ১৯৯৯ সাল থেকে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধে আছে মারণব্যাধি এইডস৷ এই ঘটনার জন্য নাদিয়াকে অনেকে প্রতারক বলে অভিহিত করলেও এইডসবিরোধী সংগঠনগুলো নাদিয়ার পক্ষেই দাঁড়িয়েছে৷ তারা বলছে, নিরাপদ যৌন সম্পর্কের বিষয়টি শুধু যে এইডস আক্রান্ত তার একার দায়িত্ব নয়৷ তাই একা নাদিয়াকে দোষ দেওয়া যায় না, দায় আছে অন্য পক্ষেরও৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন