1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নভেম্বর মাসে সু চি মুক্তি পেতে পারেন : মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২৮ অক্টোবর ২০১০

মিয়ানমারের সামরিক সরকার আগামী ৭ই নভেম্বর নির্বাচনের আয়োজন করলেও, প্রায় গোটা বিশ্ব এ নির্বাচনকে প্রহসন হিসেবেই গণ্য করছে৷ এদিকে শোনা যাচ্ছে, নির্বাচনের ঠিক পরেই বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি’কে মুক্তি দেওয়া হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/PrDz
নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিছবি: AP

প্রায় দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম মিয়ানমারে আদৌ কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ অথচ দেশের ভিতরে-বাইরে এই আয়োজনকে প্রহসন হিসেবেই ধরা হচ্ছে৷ কারণ সামরিক সরকার নানা বিধিনিয়ম চাপিয়ে নির্বাচনে অং সান সু চি সহ বিরোধী নেতাদের অংশই নিতে দিচ্ছে না৷ ফলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ এই অবস্থায় ভিয়েতনামে আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এসে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ান উইন বললেন, নির্বাচনের ঠিক পরেই অং সান সু চি'কে মুক্তি দেওয়া হতে পারে৷ আসিয়ান'এর মহাসচিব সুরিন পিতসুয়ান মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, সু চি'র কারাদণ্ডের মেয়াদ ঠিক নভেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে৷ তাই তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখার কোনো কারণ নেই৷ তবে মহাসচিব আরও বলেন, মিয়ানমারের সরকার সু চি'র মুক্তির বিষয়ে কোনো স্পষ্ট অঙ্গীকার করে নি৷ তাই অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই৷ মিয়নমারের কর্তৃপক্ষ বার্তা সংস্থা এএফপি'কে জানিয়েছে, যে সু চি'র গৃহবন্দি দশার মেয়াদ ১৩ নভেম্বর শেষ হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, গত ২১ বছরের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরেই সু চি বন্দি অবস্থায় রয়েছেন৷ পর্যবেক্ষকদের ধারণা, মুক্তির ইঙ্গিত দিয়ে ইয়াঙ্গন সরকার আসলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাইছে৷

Aung San Suu Kyi Flash-Galerie
সু চি’র মুক্তির দাবিতে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলে আসছে৷ এই ছবিটি টোকিওর বিক্ষোভেরছবি: picture-alliance/ dpa

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের উপর আস্থা রয়েছে, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ যেমন ফিলিপাইন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলব্যার্তো রোমুলো সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সু চি'কে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি দিলেও নতুন অভিযোগ খাড়া করে আবার তাঁকে বন্দি করা হতে পারে৷ তাই শুধু মুক্তির আশ্বাস যথেষ্ট নয়, মিয়ানমার সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে হবে, যে তারা বিরোধী নেত্রীর বিরুদ্ধে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, বলেন রোমুলো৷ গত বছর মে মাসে সু চি'র গৃহবন্দি দশা শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু এক মার্কিন নাগরিক গোপনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করায় আবার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন শুক্রবার আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ তিনিও সু চি'র মুক্তির জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে মিয়ানমারের সরকারের উপর অত্যন্ত বিরক্ত৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ