1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নবীর ওপর প্রকাশিত কার্টুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত

আবদুস সাত্তার৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬

ডেনমার্কের একটি পত্রিকায় নবী করিম হযরত মোহাম্মদ দঃ এর ওপর সম্প্রতি যেসব বিতর্কিত কার্টুন ছাপা হয়েছে তার বিরুদ্ধে এশিয়া ও আরব দেশগুলোতে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছ ৷ শুক্রবার জুমার নামাযের সময়ও হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখায়৷

https://p.dw.com/p/DPrv
ছবি: picture-alliance/dpa

এশিয়া ও আরব দেশগুলো সত্যি বলতে কি গোটা বিশ্বের মুসলমানরা গত শুক্রবার জুম্মার নামাযকে ব্যবহার করেন হযরত মাহাম্মদ দঃ এর ওপর প্রথমে ডেনমার্কে এবং পরে ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে কার্টুন ছাপানোর বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানোর কাজে৷ শুধুমাত্র প্যালেস্টাইনী অঞ্চলেই হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে৷ তারা সে সময় ডেনমার্কের পতাকা পোড়ায়৷ কোপেনহাগেন সরকার সত্তরটিরও বেশি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানান একটি বৈঠকের জন্য কিন্তু মিশর একে সন্তোষজনক নয় বলে অভিহিত করেছে৷

উগ্রপন্থী ফিলিস্তনীরা গাজায় ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি বোমা নিক্ষেপ করে৷ কেউ আহত হয় নি৷ তার আগে জর্ডানের পশ্চিম তীরে একজন জার্মান শিক্ষককে অপহরণ করা হয় কিন্তু তার পরে পরেই তাঁকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়৷ গাজায় দশ হাজার মানুষের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা হুমকি দেয় ঐসব দেশকে যারা নবী করিমকে অবমাননা করে কার্টুন প্রকাশ করেছে তাদের পত্রিকায়৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক, নরওয়ে, জার্মানি, ফ্রান্স,ইতালি ও বেলজিয়াম৷

জাকার্তায় দেড়শরও বেশি বিক্ষোভকারী জোর করে ডেনিশ দূতাবাসে ঢুকে পড়ে এবং ডেনমার্কের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়৷ তাঁরা শ্লোগান দেয়, আমরা সন্ত্রাসী নই, আমরা হলাম তাদের বিরুদ্ধে যাঁরা ইসলামকে অবমাননা করে৷ ডেনিশ দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরেও৷ সিঙ্গাপুরেও প্রতিবাদ হয়৷ ইরাকী শিয়াদের বড় আয়াতুল্লাহ আলি আল সিসতানি কারিক্যাচার ছাপানোর নিন্দা করেন ৷ বাগদাদ এবং বিশেষ করে বশরায় হাজার হাজার মানুষ ড্রয়িংগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়৷ তারা বিশেষ করে ডেনমার্কের তীব্র সমালোচনা করে৷

পাকিস্তানের সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করে নবীর ওপর বারোটি কার্টিন প্রকাশের জন্য৷ ইসলামাবাদ ও লাহোরে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়৷ বিক্ষোভ দেখানো হয় বাংলাদেশ ও তুরস্কেও৷

কোপেনহাগেন এ রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী রাসমুসেন আহ্বান জানান পরিস্থিতির আরো অবনতি রোধের জন্য৷ জাতিসংঘের মহাসচীব কোফি আন্নান বলেন, সকল ধর্মালম্বীকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে৷ তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ্য যে, ডেনমার্কের যে সংবাদপত্রটিতে প্রথম অপমানকর কার্টুন ছাপা হয় সেটি ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য৷