1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘নতজানু ভারতনীতির সুযোগেই ফেলানী হত্যায় এমন রায়''

৬ জুলাই ২০১৫

আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার রায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর এক সদস্যকে আবারও খালাস দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারীরা৷

https://p.dw.com/p/1FtJb
Bangladesch Dhaka Tod von Felani Khatun
ছবি: picture-alliance/Demotix

ইংরেজি দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন' খবরটি টুইটারে শেয়ার করেছে৷ এর সঙ্গে হত্যার দিন থেকে শুরু করে মামলা হওয়া এবং রায় প্রদান পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তারিখের একটি তালিকা দিয়েছে৷

নুসরাত জাহান জেনি ভারতীয় বিশেষ আদালতের দেয়া এই রায়কে ‘নির্লজ্জ' রায় বলে অভিহিত করেছেন৷

মোহাম্মদ বেলায়েত লিখেছেন, সবাই জানার পরও ভারতীয় আদালত বিএসএফ সদস্যকে ছেড়ে দিয়েছে৷

এদিকে কল্লোল মুস্তফা বলছেন, বাংলাদেশের নতজানু ভারতনীতির সুযোগেই এ রকম রায় হয়েছে৷ ‘‘বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের নতজানু ভারতনীতির আজকে এই ফল যে, ফেলানী হত্যার মতো ঘটনারও ন্যায়বিচার না করার ধৃষ্টতা দেখায় ভারত'', ফেসবুকে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি৷ মুস্তফা বলেন, ‘‘সীমান্ত হত্যা জায়েজ করার জন্য বিএসএফ বারবার একটাই অজুহাত দিয়ে এসেছে – আত্মরক্ষা৷ সবাই জানে এটা স্রেফ অজুহাত৷ ফেলানী হত্যার ক্ষেত্রে এমনকি এই অজুহাতটাও তো খাটে না৷ কাঁটাতারে কাপড় আটকে ঝুলতে থাকা এক কিশোরী মেয়েকে গুলি করে মেরে ফেলার জন্য দুনিয়ার কোনো আইনে কোনো অজুহাত দাঁড় করানো সম্ভব না৷ তাহলে এই যে বিএসএফ-এর আদালত খুনি সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করলো, তা কিসের ভিত্তিতে? উত্তর একটাই – আধিপত্য আর গায়ের জোরে৷ বাংলাদেশের নতজানু ভারতনীতির সুযোগে৷'' তিনি এও মনে করছেন, ফেলানী হত্যা মামলায় বিএসএফ-এর নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া একটাই বার্তা দেয়; সেটা হচ্ছে, সীমান্তে বিএসএফ এরকম নির্দোষ হত্যাকাণ্ড ঘটাতেই থাকবে৷

Indien Bangladesh Grenze mit Soldaten und Stacheldraht
‘বিএসএফ বারবার একটাই অজুহাত দিয়ে এসেছে – আত্মরক্ষা৷ সবাই জানে এটা স্রেফ অজুহাত৷’ছবি: AP

আনহা এফ. খান কল্লোল মুস্তফার এই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বটা পার্মানেন্ট ট্যাটুর মতো৷ একবার বন্ধুত্বের ট্যাটু আঁকা হয়ে গেছে, এরপর যত যাই ঘটুক, বন্ধুত্ব অমলিন! সাবাশ বাংলাদেশ!! বন্ধুত্বের এমন নজির পৃথিবীতে স্থাপনের জন্য!''

আমিনুল ইসলাম ফেলানীর উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে এরকম রায়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষকেই দায়ী করেছেন৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘...না, আমি ভিন দেশের লোকদের দোষ দিবো না! তুমি যে দেশে জন্মেছিলে, সেই দেশে যারা এখনো বেঁচে আছে, দেশের আলো বাতাস খেয়ে বেড়াচ্ছে; তারা সুধীরের জন্য কাঁদে কিন্তু তোমার মতো হতভাগার জন্য কাঁদার সময় তাদের নেই৷ তোমার ভাগ্য তাই কাঁটাতারে ঝুলে থাকা! তারা বুঝলো না, এই ঝুলে থাকা মানে তুমি ঝুলে থাকা না, পুরো দেশটাই ঝুলে থাকা! ক্ষমা করো বোন আমার, আমরা যারা বেঁচে আছি; তারা কেবলই বেঁচে থাকার জন্য বেঁচে আছি!''

ইমরান ফিরদৌস টুইটারে ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কলাম শেয়ার করেছেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী লাম-ইয়া মোশতাক কলামটি লিখেছেন৷ তিনি মনে করছেন সরকারের উপর চাপ না দিলে ফেলানীর হত্যাকারীর হয়ত কোনো শাস্তি হবে না৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য