1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অধিকার হারাচ্ছে শিশুরা

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে এখন এক বিলিয়নের বেশি শিশুর বাস কিন্তু অনেক শিশুই এখনও দারিদ্র্যের চরম সীমায় অবস্থান করছে, যেখানে তারা বিদ্যুৎ, পানি, শিক্ষা ছাড়াই বাস করছে৷ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য৷

https://p.dw.com/p/14BU6
ছবি: DW

জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, নগরায়ণের কারণে শহরে বসবাসরত কয়েকশত মিলিয়ন শিশু অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুদের একটি বড় অংশ নগর এবং শহরে বেড়ে উঠবে৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের তুলনায় শহরই হবে শিশুদের ঠিকানা৷ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নগরগুলো সরকারের সাধ্যের তুলনায় দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠছে৷ আর প্রতি তিনজন নগরবাসীর একজন আবার থাকেন বস্তিতে৷

দ্রুত গতির এই নগরায়ণের ফলে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না৷ পরিকাঠামোগত সুবিধা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার৷ ফলে গরিব মানুষদের জীবন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে৷ সামান্য পানির আশায় তাদেরকে খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ৷

ইউনিসেফ মনে করে, নগর পরিকল্পনার সময় এখন শিশুদের প্রতি আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে৷ বিশেষ করে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে৷ শিশুদেরকে যাতে অল্প বয়সেই জোর করে কাজে না পাঠানো হয় সেদিকেও গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ৷ সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক এই বিষয়ে বলেছেন, কয়েকশত মিলিয়ন শিশু এখন শহরের বস্তিতে বসবাস করছে৷ সেখানে অনেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় সাধারণ সুযোগসুবিধাও পাচ্ছে না৷

Kinderarbeit in Afghanistan
আফগানিস্তানে কাজ করছে শিশুরাছবি: DW

এদিকে, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ২০ বছর পূর্তি হলেও এখন পর্যন্ত শিশুদের পক্ষে এই অধিকারের দাবি জানানো কঠিনই রয়ে গেছে৷ তবে নতুন এক চুক্তিতে দেখা যাচ্ছে, শিশুরা এখন সরাসরি জাতিসংঘে তাদের অধিকারের বিষয়ে জানাতে পারবে৷ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে, যেখানে এককভাবে যেকেউ অধিকারের দাবি জানাতে পারবে৷

জার্মানির পরিবারমন্ত্রী ক্রিস্টিনা শ্রোয়েডার এই বিষয়ে বলেন, জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক নীতিতে এককভাবে কারো অধিকারের দাবি জানানোর সুযোগ নেই৷ নতুন প্রটোকলে এই সমস্যাটির সুরাহা হচ্ছে বলে মনে করেন ক্রিস্টিনা৷ তিনি বলেন, এখন এই সমস্যাটি দূর করা হচ্ছে৷

বলাবাহুল্য, জার্মানি ২০০৯ সাল থেকে শিশুদের এককভাবে অধিকারের দাবি জানানোর পক্ষে কাজ করে আসছে৷ খুব দ্রুত এই বিষয়টি জাতিসংঘের সনদের অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় সন্তুষ্ট জার্মান মন্ত্রী৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য