1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ ঢাকা যাচ্ছেন আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি৷ তিস্তা চুক্তি বা স্থলসীমা চুক্তি আটকে থাকার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যাতে থমকে না যায়, সেই লক্ষ্যেই খুরশিদের এই সফর এক ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে৷

https://p.dw.com/p/17aEu
ছবি: DW/M. Jha

গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা চুক্তি আটকে আছে৷ স্থলসীমা চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে৷ এতে সামগ্রিক সম্পর্কের অগ্রগতি যাতে থমকে না যায়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি দু'দিনের সফরে ঢাকা যাচ্ছেন৷ সেখানে তিনি বৈঠক করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে৷ পাশাপাশি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও৷ বাংলাদেশে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে৷ তার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গতি আনতে অন্যান্য কী কী পদক্ষেপ ভারত নিতে চলেছে, সেটাই তুলে ধরবেন খুরশিদ৷

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন শেখ হাসিনা সরকার আছেন৷ এই মুহূর্তে ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরো জোরদার করা৷ হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ভূমিকা সদর্থক৷ এখানে যদি বাধা পড়ে তাহলে সেটা হবে শুধু জাতীয় স্তরে নয় আন্তর্জাতিক স্তরেও অসম্মানজনক৷ ভারতের যেসব নীতি আছে, যেমন ‘লুক ইস্ট পলিসি' সামগ্রিকভাবে তার রূপায়নে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়া জরুরি৷''

Bangladesch Premierminister Sheikh Hasina Wazed und Indiens Finanzminister Pranab Mukharjee
রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম বার বাংলাদেশ সফর করবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ছবি: DW/Swapan

খুরশিদের আলোচ্যসূচির শীর্ষে আছে স্থলসীমা চুক্তি রুপায়ন৷ সালমন খুরশিদ দিল্লিতে বলেছেন, স্থলসীমা চুক্তি রূপায়নের প্রশ্নে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ সরকার চাইছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা ঐকমত্যে আসতে৷ প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে৷ সরকার চেষ্টা করছে সংসদের আগামী অধিবেশনে সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি পাশ করাতে৷ যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, তাই এর রূপায়নে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদন দরকার৷ আগামী মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ সফরে যাবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ তার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৌতকার্য এগিয়ে রাখছেন৷

উল্লেখ্য, সীমান্ত চুক্তির অধীনে আসবে ছিটমহল হস্তান্তর যা ঝুলে আছে দেশভাগের সময় থেকেই একটি বিতর্কিত ইস্যু হয়ে৷ ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে দু'দেশে৷ যার মধ্যে ৫১টি ভারতে এবং ১১১টি বাংলাদেশে৷ ছিটমহল হলো এক দেশের ছোট্ট ভূখণ্ড অন্য দেশের সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত৷

ভারতীয় ছিটমহলগুলি আছে প্রধানত বাংলাদেশের চারটি জেলায়৷ লালমনিরহাট, কুরিগ্রাম, পাঁচমাড়ি ও নীলফামারি৷ আর বাংলাদেশের সব ছিটমহল পড়েছে ভারতের কোচবিহার জেলায়৷ খসড়া চুক্তি অনুযায়ী দহগ্রাম ও আঙ্গারপোতা যাবে বাংলাদেশে৷ যুক্ত থাকবে তিনবিঘা করিডরের মাধ্যমে যা লিজ দেয়া হবে বাংলাদেশকে৷ ৩৪ হাজার বাংলাদেশি থাকে ভারতীয় ছিটমহলে এবং ১৭ হাজার ভারতীয় থাকে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলিতে৷ বর্তমানে এদের নাগরিকত্ব নেই৷ হস্তান্তরের পর ইচ্ছামত নাগরিকত্ব নেয়া যাবে৷ প্রথমে ইন্দিরা-মুজিব এবং হালে মনমোহন সিং-হাসিনা চুক্তি এখনও কার্যকর হয়নি৷

এখানেও আপত্তি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের৷ তাঁর মতে, এই চুক্তি কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গকে হারাতে হবে সাড়ে ১০ হাজার একর জমি৷ আর রাজ্যের ওপর পড়তে পারে শরণার্থীদের বোঝা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য