1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দৃষ্টিহীনদের হাতিয়ার একো লোকেশন

২৬ জানুয়ারি ২০১৬

যে সব মানুষ চোখে দেখতে পায়, বিভিন্ন দৃশ্য তাদের মস্তিষ্কে ছবি সৃষ্টি করে৷ অন্ধ মানুষদের ক্ষেত্রে শব্দই মস্তিষ্কে ছবি সৃষ্টি করতে পারে৷ শব্দকে রাডারের মতো কাজে লাগিয়ে এক থ্রিডি মডেল সৃষ্টি করতে পারেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/1HjM7
Bildergalerie blinde Studenten in Bangladesch
ছবি: DW/Mustafiz Mamun

লোরে টালার অনেক বছর ধরে ‘একো লোকেশন' প্রযুক্তি নিয়ে চর্চা করছেন৷ তিনি অন্ধ মানুষজনের অভিজ্ঞতার রিপোর্ট সংগ্রহ করেন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, যে শুধু বস্তুর সঙ্গে দূরত্ব নয়, শব্দের প্রতিফলন আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে পারে৷ যেমন সামনের মাঠে অনেক ঘাস আছে কিনা, সামনের দেয়াল কংক্রিট নাকি প্লাস্টিক বা কাঠ দিয়ে তৈরি৷ মনস্তত্ববিদ ড. লোরে টালার বলেন, ‘‘মৌলিক কৌতূহল ও রোমাঞ্চ জাগানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল৷ দেখাতে চেয়েছিলাম, ‘একো লোকেশন' পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকে দৃষ্টিবান মানুষের মতো দেখতে পায়৷ অনেক ক্ষেত্রে বোঝাই যায় না, যে তারা অন্ধ৷''

সাউন্ড ব্যবহার করে আশেপাশের জগত সম্পর্কে একটা ছবি সৃষ্টি করলে মস্তিষ্কের মধ্যে কী ঘটে? ড. টালার ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স টোমোগ্রাফি ব্যবহার করে দেখছেন, মস্তিষ্কের কোন অংশ সক্রিয় হয়ে উঠছে৷

তিনি বলেন, ‘‘স্ক্যানারের মধ্যে মানুষকে শুইয়ে আমরা আগে থেকে রেকর্ড করা সাউন্ড চালিয়ে তাদের শোনাই৷ তারা সেই শব্দ শুনে বলে, তারা ঠিক কী শুনতে পারছে৷ যেমন এটা একটা গাছ বা বাড়ি৷ একো বা শব্দের প্রতিফলন থাকলে তারা সেটা শুনে সত্যি গাছ, গাড়ি বা বাড়ি চিনতে পারে৷ অথচ ‘কনট্রোল-স্টিমুলাস' সেই তথ্য দেয় না৷''

ফলাফল সত্যি বিস্ময়কর৷ ‘একো লোকেশন' পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্ধ মানুষের মস্তিষ্কের কাঠামো বদলে দেওয়া যায়৷ ড. লোরে টালার বলেন, ‘‘আমাদের ফলাফলের বিশেষত্ব হলো, এই শব্দ অন্ধ মানুষের মস্তিষ্ককে অত্যন্ত সক্রিয় করে তুলেছে৷ যারা দেখতে পায়, তাদের মস্তিষ্ক শুধু ছবি দেখেই সাড়া দেয়৷''

অর্থাৎ শব্দ মস্তিষ্কের ‘ভিশুয়াল সেন্টার'-এ বিশ্লেষণ করা হয়৷ তখন মস্তিষ্কে ছবি সৃষ্টি হয়৷ রোগী চোখে দেখতে না পেলেও তাতে কোনো সমস্যা হয় না৷ ড. টালার বলেন, ‘‘আমি বলবো না, যে এটা দৃষ্টিশক্তির বিকল্প হতে পারে৷ কিন্তু মস্তিষ্ক আবার যে অন্য স্পন্দন পাচ্ছে, সেটাও তো কম নয়৷ আমার মতে, সব মস্তিষ্কেরই সেই ক্ষমতা থাকে, কোনো বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হতে হয় না৷''

টমি নিজেই শব্দের প্রতিফলন ঘটিয়ে অনায়াসে কেক-রুটির দোকান পর্যন্ত চলে যান৷ বিভিন্ন রকম কেকের মধ্যে তফাত বুঝতে না পারলেও ক্ষতি নেই৷ প্রায় যে কোনো ১৮ বছরের যুবকের মতো তিনিও নিজেকে মুক্ত, স্বাবলম্বী ও শক্তিশালী মনে করেন৷

তিনি বলেন, ‘‘আমার মাথায় একটা থ্রিডি মডেল সৃষ্টি হয়৷ তখন বুঝতে পারি, ডানদিকে জানালা আর সামনে চেয়ার-টেবিল রয়েছে৷ আমি সেখানে বসতে পারি৷ জগতের অনেক দরজা আমার জন্য এভাবে খুলে যায়৷ জীবনে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ও স্থিতিশীলতা আসে৷ চট করে মাথা গোলমাল হয়ে যায় না৷''

এ যে এক অসাধারণ ক্ষমতা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান