দুলের মতো কান
মেয়েদের কান ফোটানোর ইতিহাস নতুন নয়৷ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র নানা কায়দার কানের দুল পরেন মেয়েরা৷ ইদানীং পরছেন ছেলেরাও৷ কিন্তু কানের ফুটোই যদি হয় ডিজাইনার? ইদানীং সেই কায়দাও শুরু হয়েছে৷
পাঙ্ক কায়দা
শোনা যায়, মঙ্গোলীয় এবং আফ্রিকার কোনো কোনো আদিবাসী সম্প্রদায় কানে নানা নকশার ফুটো করেন৷ ’৬০-’৭০ এর দশকে হিপি আন্দোলনের সময় অনেকে সেই কায়দায় কানে ফুটো করতে শুরু করেন৷ আজকাল সেই কায়দা আরো জনপ্রিয় হয়েছে৷ এখন এর নাম পাঙ্ক স্টাইল৷
লতিটুকু থাক
কেউ কেউ কানের লতির বর্ডারটুকু রেখে বাকিটা ফুটো করে ফেলছেন৷ মস্ত সেই গর্তে লাগিয়ে নিচ্ছেন রং-বেরঙের চাকতি৷ এটাই নাকি যুগের স্টাইল স্টেটমেন্ট৷
আশ্চর্য দুল
বাদ যাচ্ছেন না পুরুষরাও৷ কেউ কেউ রীতিমতো সার্জারি করে কানের লতির আকার বদলে ফেলছেন৷ যাঁরা ততটা সাহস পাচ্ছেন না, তাঁরা কিনে ফেলছেন লতির মতো দেখতে দুল৷
কান টানলে নাকও আসে
শুধু কানে নয়, ইদানীং পশ্চিম দুনিয়ার পাঙ্কস্টাররা নাকেও ফুটো করছেন৷ গলায়, ঘাড়ে রং বেরঙের ট্যাটু করে তার সঙ্গে মিলিয়ে পড়ে ফেলছেন দুল আর নাকছাবি৷
কানকাটা নকশা
উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো কোনো আদিবাসী কানের লতি কেটে ফেলে এক ধরনের নকশা তৈরি করেন৷ ইদানীং পশ্চিম দুনিয়াতেও সেই নকশা জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ লতির একটা অংশ কেটে অন্য অংশের সঙ্গে মানানসই দুল পরছেন অনেকে৷
স্বাস্থ্যসম্মত তো!
অনেকেরই প্রশ্ন, এ ধরনের স্টাইল স্বাস্থ্যসম্মত তো? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত নয়৷ অনেক সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে৷ কারণ, কান শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ তবে পেশাদারদের কাছে গিয়ে এ ধরনের ফুটো করালে ভয় কম৷