দিন বদলাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে ঘানার মেয়েরা

ঘানার গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষই কৃষিজীবী৷ বর্ষায় মাঠে মাঠে পড়ে শস্যের চারা রোপণের ধুম৷ সেখানে পুরুষ থাকে না বললেই চলে৷ ঘর সামলে খামারের কাজেও হাত লাগায় মেয়েরা৷

হালে বাইরের অনেক কাজে দেখা যাচ্ছে ঘানার মেয়েদের৷ ছবির এই নারীর মতো বাস চালাচ্ছেন অনেকেই৷ বাস চালক হিসেবে বেশ দক্ষ তাঁরা৷ গাড়ি চালনায় মেয়েদের দক্ষতা অবশ্য অনেক দেশেই প্রমাণিত৷ মেয়েদের ঝুঁকি নেয়ার প্রবণতা কম, তাই বিশ্বের অনেক দেশেই গাড়ি চালানোয় মেয়েদের কদর বাড়ছে৷

পুলিশ বাহিনীর কুচকাওয়াচের সামনের কাতারে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের৷ কয়েক বছর ধরে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে নারীদের৷ সেখানেও পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারছে বলেই এখন কুচকাওয়াজের সামনে তাদের সগর্ব উপস্থিতি৷

রান্নাবান্না করে পরিবারের সবার মুখে খাবার তুলে দেয় নারী৷ রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যে কাঠের প্রয়োজন তা-ও নারীকেই সংগ্রহ করতে হয়৷ কাঠ সংগ্রহ করতে নারীকেই যেতে হয় বনাঞ্চলে৷ ঝরে পড়া গাছের ডাল সংগ্রহ করে বা কেটে এনে উনুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করতে হয় তাদের৷

গম ঝেড়ে ঘরে তোলা, কোটানোর পর আটা থেকে ভূষি ছাড়ানো, তারপর রুটি বানানো – সবই মেয়েদের কাজ৷

শেয়া এক ধরনের বাদাম৷ এ বাদাম থেকে রূপচর্চার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয়৷ শেয়া বাদাম শুকানোর জন্যও রোদে পুড়তে হয় নারীকে৷ কখন বৃষ্টি নামে তার ঠিক নেই বলে না শুকানো পর্যন্ত পাশেই বসে থাকতে হয়৷ শুকানোর পর কারখানায় পাঠানোর আগ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ঘাম ঝরাতে হয় নারীকে৷

ঘানার উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ‘শেয়া’ চাষ হয়৷ শেয়া বাদাম থেকে তেল এবং ক্রিমও হয়৷ তবে বাদাম থেকে তেল বের করার আগে তা ভালো করে সেদ্ধ করতে হয়৷ সেই কাজটাও করে মেয়েরা৷

বর্ষা শেষে ঘরে ফসল তোলা শুরু৷ সবচেয়ে আগে ঘরে ওঠে ইয়াম৷ ইয়াম এক ধরণের আলু৷ আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচিত এ আলু খেত থেকে ঘরে তোলার সময় হলেই গ্রামে গ্রামে শুরু হয় উৎসব৷ উৎসব মানেই ঐতিহ্যবাহী নাচগান আর উদ্দাম আনন্দ৷