দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বনাঞ্চল আগুনে পুড়ছে
দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের কযেকটি দেশের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল৷ আগুন নেভাতে দমকল কর্মীরা লড়ে চলেছেন৷ ইচ্ছে করে আগুন লাগানো হয়েছে কিনা – এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনে৷ দাবদাহের কারণে আগুন এখনো নেভানো যায়নি৷
ক্রোয়েশিয়ায় দাউ দাউ আগুন
আগুনের শিখা আর ধোঁয়ায় ঢেকে আছে ক্রোয়েশিয়ার পোডস্ট্রানা গ্রাম৷ গত ১৮ জুলাই এ ছবি তোলার সময় অ্যাড্রিয়াটিকের উপকূলবর্তী স্পিল্ট শহরের কাছের এই গ্রামের আশপাশের বিস্তীর্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল দাবানল৷
ক্ষয়ক্ষতি
দাবানল জনবসতির দিকে এখনো বেশিদূর এগোয়নি৷ সামান্য কিছু ঘরবাড়ি পুড়েছে৷ তবে বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক৷ ওমিস এবং স্প্লিট নামের দু’টি শহরের মাঝে অন্তত সাড়ে চার হাজার হেক্টর বনাঞ্চল প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে আগুনে৷
দায়ী প্রকৃতি, নাকি মানুষ?
দক্ষিণ ইউরোপে গ্রীষ্মে প্রায় প্রতিবছরই বনাঞ্চলে আগুন লাগে৷ তবে সবসময় যে বিরূপ প্রকৃতিই আগুনের জন্য দায়ী তা নয়, অনেক সময় জমি দখল করার জন্য ভূমিদস্যুরাও আগুন দেয়৷ এবারের দাবানলের পেছনেও মানুষের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ক্রোয়েশিয়ার ২০টি শহরের বনাঞ্চলে আগুন জ্বলছে৷ সংবাদমাধ্যমের নানা সংবাদ ও বিশ্লেষণেও তাই উঠে আসছে ইচ্ছাকৃত আগুন লাগানোর আশঙ্কার কথা৷
মন্টেনেগ্রোতেও আগুন
ক্রোয়েশিয়ার পাশের দেশ মন্টেনেগ্রোর বনাঞ্চলও জ্বলছে৷ আগুন নেভানোর কাজে দমকলকর্মীরা তো রয়েছেনই, সেনাবাহিনীকেও ডাকা হয়েছে৷ পরিস্থিতির ভয়াবহতা এমনই যে, ইতিমধ্যে ন্যাটোর সহায়তাও চেয়েছে মন্টেনেগ্রো৷
পর্যটকরাও বিপদে
মন্টেনেগ্রোয় আগুন জনবসতির দিকে এগিয়ে যাওয়ায় শতাধিক পর্যটককে বিশেষ ব্যবস্থায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷
অস্বাভাবিক পরিস্থিতি
ইউরোপের কোথাও কোথাও এবার অস্বাভাবিক দাবদাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডও হয়েছে কোনো কোনো দেশে৷ ইটালির দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চলের আগুন নিভেছে মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে৷ মাস খানেক আগে নিভেছে পর্তুগালের আগুন৷