থাইল্যান্ডের ভাসমান বাজার
পর্যটকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় থাইল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ তার ভাসমান বাজার৷ ব্যাংকক এবং অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ শহরের কাছাকাছি হদিস পাওয়া যায় এই সব বাজারের, যেখানে খালের জলে ভাসমান নৌকায় পশরা সাজিয়ে বিকিকিনি চলে৷
দামনোয়েন সাদুয়াক
ব্যাংকক থেকে ৯০ কিমি দূরে দামনোয়েন সাদুয়াক ভাসমান বাজার৷ তল্লাটের এটিই সবথেকে বড় ভাসমান বাজার৷ চটজলদি খাবার থেকে হস্তশিল্প – সব কিছুরই অঢেল আয়োজন এখানে৷
সাতসকালেই হুড়োহুড়ি
সকাল আটটাতেই এই বাজারে নৌকায় নৌকায় ঠেলাঠেলি৷ শাক-সবজি, ফল, চটজলদি খাবারের নৌকাগুলো আসে সবার আগে৷ তবে ভাসমান নৌকার পাশাপাশি খালের দুধারেও বসে দোকান৷
পাড়ে দাঁড়িয়ে
কেনাকাটার জন্যে খদ্দেরকেও যে জলে নামতে হবে, তার কোনো কথা নেই৷ পাড়ে দাঁড়িয়েও দিব্যি চলতে পারে খরিদ্দারি৷
ভাসমান কোঠাবাড়ি
জলপথের মধ্যেই দোতলা উঁচু কাঠের বাড়ি৷ সেগুলো একটু বড় ভাসমান বাজার৷ নৌকা করে খদ্দেররা আসেন৷ খরিদপত্র সেরে ফিরে যান৷
রান্নার গলি
তুলনায় কম ব্যস্ত যে গলিপথ, সেই সব খালে নৌকা দাঁড় করিয়ে চলে রান্নাবান্না৷ শেষ হলেই নৌকা রওনা হয় মূল বাজারের পথে৷
ঘর সাজানোর সামগ্রী
শুধু শাক-সবজি, ফলমূল, বা খাবারদাবার নয়, ঘর সাজানোর জন্য নানা রকমের ছবি, ফুলদানি, মূর্তি, নকল ফুলও পাওয়া যায় ভাসমান বাজারে৷
রঙ্গ রসিকতা
এমনিতেই থাই মানুষজন খুব অতিথিবৎসল, খুব খোলা মনের৷ বিদেশি খরিদ্দারদের সঙ্গেও আলাপ, রঙ্গ রসিকতায় মেতে উঠতে তাই বাধা নেই৷
তেষ্টা মেটাতে
জলপথে ঘুরতে ঘুরতে খিদে মেটানোর অনেক আয়োজন৷ কিন্তু যদি তেষ্টা পায়? একটা ডাবের নৌকা ডেকে নিলেই হলো৷
সবসময় হাসিমুখ
খদ্দেররা প্রচুর দরদাম করেন৷ তাও বিক্রেতারা মেজাজ হারান না৷ মুখের হাসি সবসময় অমলীন৷
মুগ্ধতা পদে পদে
যাঁরা কিছু কিনতে নয়, শুধু দেখতেই আসেন, তাঁরাও বাঁধা পড়ে যান ভাসমান বাজারের আকর্ষণে৷ তাঁদের মুগ্ধ হাবভাব সেকথাই বলে দেয়৷