1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির প্রাসাদ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১০ মে ২০১১

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে আবার হামলা শুরু করেছে ন্যাটো বাহিনী৷ ন্যাটোর বিমান থেকে গাদ্দাফির ভবন লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে বলেই খবর৷ লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি, ন্যাটো বেসামরিক স্থাপনার উপর হামলা পরিচালনা করেছে৷

https://p.dw.com/p/11D0q
ছবি: ap/dapd

জনসমক্ষে সর্বশেষ গাদ্দাফিকে দেখা গিয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল৷ ঐ দিন ত্রিপোলিতে ন্যাটোর বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন গাদ্দাফির কনিষ্ঠ সন্তান এবং তিন নাতি৷ ঐ ঘটনার পর কার্যত লুকিয়েই রয়েছেন লিবীয় এই নেতা - এমনটাই দাবি ন্যাটো এবং বিদ্রোহী সেনাদের৷ তবে গাদ্দাফির সঠিক অবস্থান জানা না থাকলেও ত্রিপোলিতে হামলা চালাতে দ্বিধা করেনি ন্যাটো বাহিনী৷ একের পর এক বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে ত্রিপোলিতে৷ গাদ্দাফির প্রাসাদ ছিল অন্যতম লক্ষ্য৷

লিবিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, ঐ হামলায় চার শিশু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে, যার মধ্যে দুইটি শিশু সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে৷ কেবল প্রাসাদ নয়, এই হামলায় সেখানকার একটি হাসপাতালও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা কর্মকর্তারা দেখিয়েছেন ত্রিপোলিতে কর্মরত বিদেশি সাংবাদিকদের৷ তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিশু পরিদপ্তরের একটি ভবনে৷ যেটি কয়েকদিন আগে ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে৷

তবে প্রত্যাক্ষদর্শীরা বলছেন, আজ গাদ্দাফির আবাসিক একটি ভবন লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার আঘাতে ঐ বাড়ির একটি অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ন্যাটোর বিমান থেকে ৩ ঘণ্টাব্যাপী আট দফা হামলা চালানো হয় বলে খবর৷ শুধু গাদ্দাফির কম্পাউন্ড নয়, একটি গোয়েন্দা সংস্থাও এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷

এদিকে বিদ্রোহীরা গত সোমবার বিভিন্ন বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ন্যাটো বাহিনীর বিমান টিউনিশিয়া সীমান্তবর্তী লিবীয় শহর জিনতানের সরকারি বাহিনীর অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে চার দফা বোমা হামলা চালিয়েছে৷ সেখানে প্রতিবার হামলার পর আরও বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ধারণা করা হচ্ছে- ঐ অস্ত্রাগারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷

তবে মিসরাটা শহরে বিদ্রোহীদের উপর গাদ্দাফি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে৷ গত এক সপ্তাহে তাদের হামলায় শতাধিক মানুষ মারা গেছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের৷

‘গাদ্দাফি কিংবা তাঁর সরকারের কোন ভবিষ্যৎ নেই, সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই যত দ্রুত সম্ভব তা তাঁর অনুধাবন করা উচিৎ'- ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেনের এহেন বক্তব্যের পরই নতুন করে এই হামলা পরিচালনা করলো৷ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়াতে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে৷ এ সময় বেশ কয়েকশত মানুষ নিহত হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক