1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেনিজ ইউচেলের আটক ‘দুঃখজনক’

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

‘ডি ভেল্ট' পত্রিকার রিপোর্টার ডেনিজ ইউচেল জার্মান ও তুর্কি, উভয় নাগরিকত্বের অধিকারী৷ গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হবার পর তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে – জার্মানি যা নিয়ে উত্তাল৷

https://p.dw.com/p/2YN8i
ডেনিজ ইউসেল
ছবি: picture-alliance/Eventpress

স্বয়ং চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার স্পষ্ট ভাষায় ইউচেলকে আটকের নিন্দা করেছেন৷ ‘‘এই পদক্ষেপ অনুপাতহীনভাবে কঠোর, বিশেষ করে ডেনিজ ইউচেল যখন স্বেচ্ছায় তুর্কি বিচার বিভাগের কাছে তদন্তের জন্য আত্মসমর্পণ করেছেন'', বলেছেন ম্যার্কেল৷ ‘‘যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার যে ব্যাপক গুরুত্ব আছে, ইউচেলের মামলা পরিচালনা করার সময় তুর্কি বিচার বিভাগ তা স্মরণে রাখবে, বলে জার্মান সরকার প্রত্যাশা করেন'', যোগ করেন ম্যার্কেল৷

ইতিপূর্বে ম্যার্কেলের মুখপাত্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের প্রতি আইনের শাসন মেনে চলার ও ইউচেলর প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করার আহ্বান জানান – যা জার্মানিতে অনেকের কাছেই বড় মৃদু বলে মনে হয়েছে৷

মন্ত্রীর ই-মেল ফাঁসে

এর্দোয়ানের জামাতা বেরাত আলবেইরাক হলেন তুরস্কের শক্তিমন্ত্রী৷ আলবেইরাকের ই-মেল হ্যাক করার সঙ্গে ইউচেলের সংযোগ আছে, বলে একটি অভিযোগ৷ এছাড়া ইউসেল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি পিকেকে-র এক অধিনায়ক চেমিল বায়িকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন – সে বিষয়েও তাঁকে জেরা করা হয়েছে, বলে প্রকাশ৷ তৃতীয়ত, ডেনিজ ইউচেল তুরস্কের কুর্দ অধিবাসীদের প্রতি তুর্কি সরকারের আচরণ সম্পর্কে একাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন – যা তাঁকে আংকারার সুনজরে আনেনি বলে ধরে নেওয়া যায়৷

জার্মান সরকারের উত্তরোত্তর প্রতিক্রিয়া

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলও সোমবার তাঁর হতাশা প্রকাশ করেন ও বলেন যে, আংকারা ইতিমধ্যেই ‘‘জার্মান-তুর্কি সম্পর্কে একনাটকীয় সময়কে'' আরো বেশি কণ্টকিত করে তুলছে৷ ‘‘আমাদের দু'টি দেশ যেভাবে দৃশ্যত আইনের শাসনের নীতি প্রয়োগ করে ও আমরা যেভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার মূল্যায়ন করি, ডেনিজ ইউচেলের মামলা তার উপর রূঢ় আলোকপাত করছে,'' বলেছেন গাব্রিয়েল৷

জার্মান আইনমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘‘সমালোচনামূলক রিপোর্টিং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার একটি বুনিয়াদি উপাদান৷'' তিনি তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধে ‘‘যে সব সাংবাদিক আপনাদের পছন্দের নয়, তাদের আটক করার'' অভিযোগ করেছেন৷ এছাড়া তিনি সাবধান করে দিয়েছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে উত্তরোত্তর সংহতি সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় অসম্ভব হবে৷

এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ)

এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷ লেখার সময় ব্যবহার করুন #FreeDeniz – এই হ্যাশট্যাগটি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান