যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন
৮ নভেম্বর ২০১২রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে বারাক ওবামাকে একরকম তুলোধোনা করার পরও কথা হয়েছিল ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজের সঙ্গে৷ গণমাধ্যম তখন রমনির ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্বাচন জমিয়ে তোলার সম্ভাবনা প্রচারে ব্যস্ত৷ কিন্তু ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজ তখন ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, তর্কের খাতিরে রমনি যা যা বলছেন নির্বাচনের আগে সেসব বিষয়ে তাঁর সামর্থ্য, দক্ষতা, সততা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, ভোটারদের মনে আস্থার জন্ম দিতে না পারলে ভরাডুবি হতে পারে তাঁর৷ শেষ পর্যন্ত তা-ই হয়েছে৷ প্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে৷ বলতে গেলে হেসেখেলেই আরো চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট থেকে গেছেন বারাক ওবামা৷
কেন এমন হলো? আলী রিয়াজ জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম এখন এ প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে৷ অনেকেই বিস্মিত৷ তবে ডেমোক্র্যাটরা উল্লসিত৷ অবশ্য আসছে চার বছরের নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও মাথায় আছে তাঁদের৷ নির্বাচিত হওয়ার আরেক নাম তো কাঁধে নতুন দায়িত্ব৷ ওবামার নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাটদের দায়িত্ব এখন মন্দার কবল থেকে টেনে তুলে দেশকে উন্নতির পথে অনেক দূর এগিয়ে নেয়া৷
রিপাবলিকানদের খুব বড় একটা ব্যর্থতা বেরিয়ে এসেছে নির্বাচনের ফলাফল থেকে আর তা হলো, বারাক ওবামার কোনো যোগ্য জবাব বা দেশের জন্য বিকল্প কোনো প্রেসিডেন্ট খুঁজে না পাওয়া৷ আলী রিয়াজ মনে করেন, ওবামার প্রতি আস্থা ধরে রেখে এবারও রিপাবলিকান শিবিরে এ বার্তাই পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আলী রিয়াজ বলেছেন, দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো তো বটেই, এ ছাড়া দেশের বাইরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও চাপমুক্ত হয়ে, সময় নিয়ে ভাবতে পারবেন, কাজ করতে পারবেন৷ ওবামার বিজয় দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন আলী রিয়াজ৷