মহানবিকে নিয়ে কার্টুন বিতর্ক
১২ আগস্ট ২০১৩তরুণ ইসলামী নেতা আহমাদ আক্কারির এই পরিবর্তনে অসন্তুষ্ট অনেকেই৷
লেবানিজ বংশোদ্ভূত আহমাদ আক্কারিকে দেখলে এখন বোঝা মুশকিল যে তিনিই সেই লোক যিনি ২০০৫ সালে জিলান্ডস-পোস্টেন পত্রিকা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর একটি কার্টুন প্রকাশ করায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন৷ এখন আর মুখে দাড়ি নেই৷ কথায় নেই সেই যুক্তি৷ বরং তখন নিজে যা করেছিলেন তাকে নিজেই ‘ভুল' বলছেন ৩৫ বছর বয়সি আহমাদ আক্কারি৷
ডেনমার্কের দৈনিক জিলান্ডস-পোস্টেনে কার্টুনটি প্রকাশিত হবার পর আক্কারি বলেছিলেন, এর মাধ্যমে ‘‘ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে৷'' মুসলিম অধ্যুষিত অনেক দেশই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল৷ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সবাইকে সোচ্চার করায় আক্কারির ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ৷ বিক্ষোভ জানাতে গিয়ে বেশ কিছু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল৷ সিরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান এবং লেবাননে ডেনমার্কের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা৷ তখন সবার আবেগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেও সাত বছর পর বার্তা সংস্থা এপি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আক্কারি বলেছেন, ‘‘ তখন যে (সবাইকে প্রতিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে) সফরে বেরিয়েছিলাম সেই বিষয়ে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই - পুরো ব্যাপারটাই ছিল ভুল৷'' তখন বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছিলেন আক্কারি৷ লেবাননে ইসলামী নেতাদের উগ্র মানসিকতা দেখেই নাকি ভুল ভাঙে তাঁর৷ এই বোধোদয় থেকে গত সপ্তাহে বিতর্কিত সেই কার্টুনের শিল্পী কুর্ট ভেস্টারগার্ডের সঙ্গে দেখা করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এখনো ডেনমার্কে বসবাসরত আক্কারি৷ কার্টুনটি প্রকাশের পর বেশ কয়েকবার হত্যার হুমকি পাওয়া ভেস্টারগার্ড ইসলামি নেতার পরিবর্তন দেখে খুশি৷
তবে ডেনমার্কের মুসলমানদের মধ্যে যাঁরা তখন বিক্ষোভে নেমেছিলেন তাঁদের বড় একটা অংশ আক্কারির এই পরিবর্তনে অসন্তুষ্ট৷ ইসলামিক সোসাইটি অফ ডেনমার্কের মুখপাত্র বিল্লাল এইচ. আসাদ জানিয়েছেন, মহানবিকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করাকে তাঁদের সংগঠন এখনো অন্যায় মনে করে৷
এসিবি/জেডএইচ (এপি)