1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধারপরাধের অভিযোগ

৮ মে ২০১৭

বাংলাদেশে আলোচিত এবং সমালোচিত কথিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপারাধের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে৷ অচিরেই যুদ্ধাপরাধের আরো ১১টি মামলা নতুন মামলা হবে৷ তদন্ত সংস্থার কাছে ৬শ’রও বেশি অভিযোগ আছে৷

https://p.dw.com/p/2cbze
Internationales Gericht in Dhaka Bangladesch ARCHIVBILD
ফাইল ছবিছবি: AP

মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল কাজ শুরু করে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ৷ শুরুতে একটি হলেও এখন ট্রাইব্যুন্যাল দু'টি৷ ট্রাইবুন্যাল বিচার কাজ ছাড়াও এর প্রসিকিউশন এবং আলাদা তদন্ত সংস্থা রয়েছে৷

তদন্ত সংস্থার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সানাউল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা এখনো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ পাচ্ছি৷ এখন আমাদের কাছে ৩,৫২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৬৫৩টি অভিযোগ আছে৷ আমরা অভিযোগ যাচাই বাছাই করে অনুসন্ধান শুরু করি এবং অনুসন্ধান সন্তোষজনক হলে তদন্ত করে মামলা দায়ের করি৷’’

‘এখন আমাদের কাছে ৩,৫২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৬৫৩টি অভিযোগ আছে’

তিনি জানান, ‘‘মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর এখন আমরা অনুসন্ধান করছি৷ এটা একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে৷ অনুসন্ধান শেষ হলে তদন্তের প্রশ্ন আসবে৷’’

মুসার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর পর তদন্ত সংস্থা সাধারণ মানুষের কাছে তার যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত তথ্য আহ্বান করে৷ গত ৬ এপ্রিল সাংবাদিক প্রবীর শিকদার এবং সাগর লোহানী তদন্ত সংস্থায় হাজির হয়ে মুসার ব্যাপারে তথ্য এবং কাগজপত্র জমা দিয়েছেন৷ তারা মূলত মুসার ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিয়েছেন৷

সানাউল হক বলেন, ‘‘আমরা তাদের দেয়া ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করছি৷ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আমরা নানা ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করি৷ সরেজমিন আমরা গিয়ে অনুসন্ধান ছাড়াও নানা পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করি৷’’

‘মুসার ব্যাপারটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে’

তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী হান্নান খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মুসার ব্যাপারটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে৷ অনুসন্ধানে তার যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেলে মূল তদন্ত শুরু হবে৷ আমরা তদন্ত করি নিখুঁতভাবে, যাতে কোনো ভুল-ভ্রান্তি না হয়৷’’

ট্রাইবুন্যালে এ পর্যন্ত যতগুলো মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে তার সবগুলোতেই আসামিদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ এ পর্যন্ত ২৮টি মামলার রায় হয়েছে ট্রাইবুন্যালে৷ তার মধ্যে ৬টি মামলায় আপিল বিভাগেও বিচার শেষে রায় কার্যকর হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে৷ বাকি মামলাগুলো আপিল হবে বা আপিল পর্যায়ে রয়েছে৷ আর এখন ১০টি মামলার বিচার চলছে৷

তদন্ত সংস্থা জানায়, প্রাথমিক অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর ২৮টি অভিযোগের এখন তদন্ত চলছে৷ এই অভিযোগগুলোতে ৫২ জনের নাম আছে৷ আর ১১টি অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে৷ এখন নতুন ১১টি মামলা বা প্রসিকিউশন দাখিল হবে৷

তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করেন, যেসব নতুন অভিযোগ আসছে সেগুলোর তদন্ত দ্রুত করার জন্য আরো লোকবল প্রয়োজন৷

প্রিয় পাঠক, এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...