1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্যের গোলকধাঁধায় নতুন দিশা

৭ মে ২০১৮

কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের দৌলতে প্রতিনিয়ত বিশাল পরিমাণ তথ্য আমাদের নাগালে চলে আসছে৷ কিন্তু মানুষ সেই তথ্যের সাগরের মর্ম কতটা বুঝতে পারে? গবেষকরা এবার নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই প্রক্রিয়ার উন্নতির আশা করছেন৷

https://p.dw.com/p/2xGuZ
ছবি: Colourbox/I. Jacquemin

তথ্য সংগ্রহ করা সহজ কাজ৷ কিন্তু সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে অর্থ বার করা কঠিন৷ তথ্যের সাগরে ডুবে দিয়েও মানুষ প্রায়ই জটিল তথ্যভাণ্ডারের মধ্যে কোনো অর্থ খুঁজে পায় না৷ তাই কয়েকজন গবেষক উন্নত ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর সমাধান খুঁজছেন৷ যেমন জনাথন ফ্রিম্যান৷ মনস্তাত্বিক হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘বিজ্ঞান দেখিয়ে দেয়, যে সবার নেপথ্যে যে প্রক্রিয়া চলে, সে দিকে নজর না দিলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে৷ সেই ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস কোনো বিশেষ স্বার্থ, আশঙ্কা বা চোখে পড়ে নি এমন কোনো সম্ভাবনা শনাক্ত করতে পারে৷ স্পর্শ করে, চোখে দেখে ও কানে শুনে চারিপাশের পরিবেশ বুঝে নিয়ে সেই জগত সম্পর্কে আপনি একটা ধারণা পেতে পারেন৷ আমরা সেই সঙ্গে বাড়তি বিশ্লেষণ দিতে চাইছি, যা মানুষের অবচেতন মনে ঘটে৷ সেটা মানুষকে বাড়তি শক্তি দেয়, অনেক তথ্য বোঝার বাড়তি ক্ষমতা দেয়৷’’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই গবেষণা প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা মানুষকে আরও ‘স্মার্ট’ ও দক্ষ করে তোলার আশা করছেন৷ অবচেতন মনের কথা শুনে এবং সেই স্তরকে উদ্দীপিত করে মানুষের নিজস্ব সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমেই সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চান তাঁরা৷ অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা সেই কাজ করছেন৷ কম্পিউটার বিজ্ঞানী পেড্রো ওমেডাস বলেন, ‘‘আমরা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও মিক্সড রিয়ালিটি প্ল্যাটফর্ম সংযুক্ত করে তথ্যভাণ্ডারে কার্যত ডুবে যাবার সুযোগ করে দিচ্ছি৷ সেই সব প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য বের করার প্রণালীও রয়েছে৷ ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় কোনো ব্যক্তির চলাফেরা বোঝার চেষ্টা করি৷ এছাড়া কিছু ফিজিওলজিক্যাল সেন্সরও রয়েছে, যা দিয়ে সচেতন ও অবচেতন স্তরে ইউজারের হৃৎস্পন্দন, শ্বাসপ্রশ্বাস ইত্যাদি পরিমাপ করা হয়৷ এই সব তথ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য আনাই আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ৷’’

স্নায়ুবিজ্ঞানী আনা মুরা বলেন, ‘‘এই প্রণালী অবচেতন প্রক্রিয়াগুলিকে সচেতন স্তরে নিয়ে আসার সুযোগ দেয়৷ এর মাধ্যমে আমরা জটিল তথ্যভাণ্ডারে তথ্য শামিল করতে পারি৷ বাড়তি সাহায্য ছাড়া এমন তথ্যের অর্থ বোঝা যেত না৷’’

মনস্তাত্বিক পল ভারশুর বলেন, ‘‘মস্তিষ্ক কোনো কম্পিউটার নয়, যেটি শুধু এক এক্সটার্নাল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করে৷ মস্তিষ্ক শরীরের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত৷ এবং মস্তিষ্ক ও শরীর পরস্পরের কাজ সীমাবদ্ধ রাখে৷ তাই মস্তিষ্ককে বুঝতে হলে শরীরের প্রেক্ষাপটেই সেই চেষ্টা করতে হবে৷ এমনই এক দৃষ্টান্ত আমার পেছনে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷ মস্তিষ্ককে বুঝতে হলে একটি রোবটের মধ্যে সেটিকে স্থাপন করতে হবে৷ মস্তিষ্কের কাজ বোঝার ক্ষেত্রে সেটাই হলো পরবর্তী পদক্ষেপ৷ ফলে চেতনার ভৌত রূপ বোঝা সহজ হবে৷’’

বিশাল তথ্যভাণ্ডারের মর্ম বুঝতে নতুন বৈজ্ঞানিক যন্ত্র তৈরির কাজ চলছে৷ সেই লক্ষ্যে এটা একটা বড় পদক্ষেপ৷