1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্যপ্রযুক্তির জাঁতাকলে বই বিক্রেতারা

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বই কেনা, বিক্রি এবং সংরক্ষণের ধারণাই পাল্টে দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি৷ বদলে দিয়েছে বই পড়ার ধরণও৷ কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির এই কল্যাণে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বই বিক্রেতারা৷

https://p.dw.com/p/10Csv
সনির একটি ই-বুক রিডারছবি: picture-alliance/ dpa

বই কেনার জন্য এখন আর সবাইকে দোকানে যেতে হচ্ছেনা৷ কিংবা বই পড়ার জন্য গ্রন্থাগারেও ছুটতে হচ্ছেনা৷ ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন ঘরে বসেই বই কিনতে এবং পড়তে পারছেন পাঠক৷ কিন্তু এর যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে বই বিক্রেতাদের৷ কেননা, এর ফলে কাগজে ছাপানো বই এর বিক্রি কমে যেতে বসেছে৷

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বুক স্টোর গ্রুপ ‘বার্নস অ্যান্ড নোবেল' আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে৷ সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বুক ওয়ার্ল্ড' সম্মেলনের আয়োজক এবং আইডিয়া লজিক্যাল কোম্পানির প্রধান উপদেষ্টা মাইক শাৎস্কিন বলেন, বই ব্যবসায় এমন সব পরিবর্তন আসছে, যা ব্যবসাকে ব্যাহত করছে৷ এই পরিবর্তন বোঝার জন্য এবং এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার তার জন্য সবাই যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিচ্ছে৷

ইন্টারনেটে কেবল কম দামে অনেক জিনিস পাওয়া যাচ্ছেনা৷ স্মার্ট ফোন, অ্যাপেল আই প্যাড এবং অন্যান্য অনেক কোম্পানি ‘অ্যামাজন'স কাইন্ডেল' এর মতো ই-বুক রিডারের মাধ্যমে ডিজিটাল বই সরবরাহ করছে৷ শাৎস্কিন'এর মতে, গত তিন বছরে ই-বুক সেলস অনেক বেড়ে গেছে৷ তিনি মনে করেন, আগামী বছরগুলোতে কাগজে ছাপানো বই এর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাবে৷ ফলে আগামীতে বিক্রেতাদের জন্য আরও হোঁচট অপেক্ষা করছে৷

অ্যামাজন ডট কমে গত মাসে বলা হয়েছে, এখন কাগজের বই এর চেয়ে কাইন্ডেল বুকসই বেশি বিক্রি হচ্ছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারগুলোতে কাগজে ছাপানো একশটি বই বিক্রি হলে সেখানে ই-বুক বিক্রি হচ্ছে একশ পনেরোটি৷ শাৎস্কিন বলেন, বই বিক্রেতারা ক্রেতাদেরকে দুইভাবে হারাচ্ছেন৷ ই-বুক বিক্রির মাধ্যমে এবং অন-লাইনে ছাপানোর মাধ্যমে৷

সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকানদের মধ্যে শতকরা পাঁচজনের গত বছর ই-বই রিডার ছিলো৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন