1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডয়চে ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে ভারতীয় অংশু জৈন

২৬ জুলাই ২০১১

জার্মানির বৃহত্তম ব্যাংক, ডয়চে ব্যাংকের শীর্ষ পদে বসবেন এক ভারতীয়৷ অংশু জৈন৷ জৈন দায়িত্ব নেবেন সামনের বছরের মে মাস থেকে৷ কিন্তু এই ঘোষণা বেশ সাড়া ফেলেছে৷

https://p.dw.com/p/123qL
অংশু জৈনছবি: picture alliance/dpa

ব্যাংকের নাম ডয়চে ব্যাংক৷ আর দেশটির নাম জার্মানি হলেও আসলে কিন্তু ডয়চেলান্ড৷ সুতরাং নামেই পরিচয় এই ব্যাংকের গুরুত্ব৷ গোটা বিশ্বের প্রায় সব বড় শহরে রয়েছে এই ব্যাংকের শাখা৷ জার্মানির সঙ্গে ওতপ্রোত এই ব্যাংকটিও৷

ঐতিহ্যশালী এবং নামজাদা এই ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে এলেন মাত্র ৪৮ বছর বয়সী এক ভারতীয়৷ নাম তাঁর অংশু জৈন৷ জৈন দায়িত্ব পাচ্ছেন ডয়চে ব্যাংকের যুগ্ম চেয়ারম্যান পদের৷ তাঁর সঙ্গে এই পদেই থাকছেন এক জার্মান. ইয়ুর্গেন ফিচেন, বয়স ৬২৷ ডয়চে ব্যাংকের সদরদপ্তর ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ঘোষণায় জানানো হল, জৈনকে পাঁচ বছরের জন্য, আর ফিচেনকে তিন বছরের জন্য ওই পদে নির্বাচিত করা হয়েছে৷ বর্তমানে ওই পদে কর্মরত সুইস নাগরিক ইয়োসেফ আকারমানের কার্যকাল শেষ হচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিলে৷ তারপরেই এই যুগ্ম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব শুরু হবে৷

অংশু জৈন মূলত উত্তর ভারতের মানুষ৷ বর্তমানে ডয়চে ব্যাংকের লন্ডন শাখায় রয়েছেন তিনি৷ ডয়চে ব্যাংকের সবচেয়ে শক্তিশালী যে বিভাগ, সেই কর্পোরেট এবং বিনিয়োগ ব্যাঙ্কিং শাখার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন৷ যেকোন আম ভারতীয়র মতই ক্রিকেট তাঁর প্রিয় খেলা৷ যে কারণে, লন্ডনে ডয়চে ব্যাংকের একটি বিশেষ ক্রিকেট টিম তৈরি করেছেন৷ যে টিমের আবার তিনিই ক্যাপ্টেন৷

বয়সেও অংশু জৈন নেহাতই কম৷ চল্লিশের মাঝে রয়েছেন৷ তাঁর পেশায় অংশু জৈনের সাফল্য চোখ ধাঁধাঁনো বললে কমই বলা হবে৷ ১৯৯৫ সালে তিনি ডয়চে ব্যাংকে যোগ দেন৷ তার আগে নিউ ইয়র্কের নামজাদা ব্যাঙ্ক মেরিল লিঞ্চের হয়েও একাধিক সমস্যা সমাধানের কৃতিত্ব এই জৈন-এর নামের সঙ্গে জুড়ে আছে৷ আর ডয়চে ব্যাংক বিশ্বের অন্য সকলের সঙ্গেই যে আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল ২০০৮ – ২০০৯ সালের বিশ্বজোড়া আর্থিক ঘাটতিতে, সে সময়ে নিজের বিভাগটিতে সেই ধাক্বা দ্রুত সামলে উঠে জৈনের তুখোড় নেতৃত্ব ডয়চে ব্যাংককে লাভের মুখ দেখায়৷ স্বভাবতই, এরপরে সেই ব্যাংকের শীর্ষ পদে তাঁর নাম বিবেচিত হওয়াটা যোগ্যতারই পুরস্কার৷

পুরস্কার অন্য অনেক কিছুই৷ জৈন –এর সঙ্গে ফিচেনকে একই পদে জুড়ে রাখার বিষয়টাকে নামজাদা জার্মান দৈনিক ‘দি ভেল্ট' ব্যাখ্যা করে বলেছে, লন্ডনে এই দু'জন একসঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছেন৷ পরস্পরের বোঝাপড়া ভালো৷ আর অংশু জৈন-এর বিশেষ ফ্যান নাকি ইয়ুর্গেন ফিচেন স্বয়ং৷ সেটা জৈন – এর কাজের জন্য৷ আর জৈন নিজে কী বলছেন?

জৈন বলছেন, ‘১৪১ বছরের পুরানো এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদের অর্ধেক দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি৷' সামনের মে মাস থেকে ডয়চে ব্যাঙ্কের সেই নতুন যাত্রাপথে এক ভারতীয়র এই সংযোজন নিশ্চয়ই আরেক ভিন্ন মাত্রা সৃষ্টি করবে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন