1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডোপিং থেকে তরুণদের বাঁচাতে ‘নাডা’র সংগ্রাম

৩০ আগস্ট ২০০৯

সম্প্রতি দেখা গেছে খেলাধুলার জগৎটি ডোপিং এর জালে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে৷ বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম স্থান অধিকার, যেভাবেই হোক সোনা জেতা - সব কিছুকেই ডোপিং অনেক সহজ করে দিয়েছে৷ কিন্তু তাতে লাভ কী কিছু হচ্ছে?

https://p.dw.com/p/JLeq
ছবি: picture-alliance / dpa / DW Montage

বলতেই হচ্ছে তাতে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি হচ্ছে৷ কারণ ডোপিং এর কারণে কোনো খেলোয়াড়ের পারফরমেন্স হয়তো অত্যন্ত ভাল হচ্ছে, এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ধরা পড়ে যাচ্ছে সে - ফলস্বরূপ সে হারাচ্ছে তার কাংখিত পদকটি৷ সে বাদ পড়ে যাচ্ছে পরবর্তী বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতা থেকে৷ খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেই ঘটছে তার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি বা পতন৷

নাডা - ন্যাশনাল এন্টি ডোপিং এজেন্সি৷ জার্মান একটি সংস্থা৷ দীর্ঘদিন ধরেই তারা চেষ্টা করে আসছে তরুণ সমাজকে - বিশেষ করে যারা খেলাধূলায় আগ্রহী তাদের সাবধান করতে৷ ডোপিং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের আরো বিশদভাবে জানাতে৷ নাডার মোটো : সবাই মিলে ডোপিং এর বিরুদ্ধে৷ ডোপিং এর জাল থেকে মুক্ত আমি৷

গোটা জার্মানিতে নাডা শুরু করেছে তাদের প্রচারাভিযান৷ প্রায় ৩৯ টি স্কুলে তারা এ পর্যন্ত গিয়েছে৷ কিভাবে ডোপিং এর সাহায্য না নিয়ে অলিম্পিকে সোনা জেতা যায়, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিজের পারফরমেন্সকে আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা যায় - সে সব বিষয়েই নাডা কথা বলেছে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে৷

Italien Radsport Davide Rebellin
সাইক্লিংয়ে নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার প্রবনতা বেশিছবি: AP

প্রায় ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিল একটি স্কুল প্রাঙ্গনে৷ সবার বয়স ৯ থেকে ১৩ এবং তারা সবাই খেলাধূলায় আগ্রহী, কোনো না কোনো খেলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন নাডার প্রধান উলরিকে স্পিট্স৷ ছাত্র-ছাত্রীদের জানিয়েছেন ডোপিং এর ভয়াবহতার কথা৷তিনি বললেন, খেলোয়াড়দের এমন একটি প্রজন্মের প্রয়োজন যারা ডোপিং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন থাকবে৷ তারা জানবে এ ধরণের কাজ বা মাদক নিজের কত ক্ষতি করতে সক্ষম৷ তাকে যে শুধু কোনো প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেয়া হবে বা হয়েছে তা নয়, তাকে অলিম্পিকের জন্য মনোনয়ন দেয়া হবে না৷ ডোপিং শারীরিকভাবে যে ক্ষতি করতে সক্ষম তার একটি ধারণা থাকা দরকার৷ আমাদের উচিৎ সঠিক এবং স্বচ্ছ পথে এগিয়ে যাওয়া৷ খেলাধুলার জগৎকে সুস্থ -স্বাভাবিক রাখা৷ এজন্য প্রতিটি খেলোয়াড়ের নিজ থেকেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ - আমি আর কখনো এই মাদকটি ব্যবহার করবো না, এই ওষুধটিও আমি আর সেবন করবো না৷

প্রশ্ন ডোপিং আসলে কী ? ঠিক কোন্ ধরণের ওষুধ খেলে তা ডোপিং এর পর্যায়ে পড়ে ? কিভাবে ডোপিং মুক্ত থাকা যায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ ভাষাতেই এবং অল্প সময়ে নাডা স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়েছে৷ অনেকেই ইতিমধ্যে ডোপিং টেস্ট করিয়েছে৷ তবে কিছু কিছু কেক তৈরিতে এক ধরণের বীজ ব্যবহার করা হয় যা খাওয়ার পর ডোপিং টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসতে পারে অথবা কেউ যদি পাশে বসে গাঁজা টানে তাহলে টেস্ট রেজাল্ট হবে পজিটিভ৷ একটি মাদকের নাম এপো৷ এপোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে একজন জানালেন, যদি আমি তরুণ কোনো খেলোয়াড়কে বলি এপো সেবনের ফলে তোমার রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাবে, এর ফলে তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হবে৷ এবং যে কারণেই যে-কোনদিন হঠাৎ করে তুমি মারা যেতে পারো৷ কিন্তু তা হবে অদূর ভবিষ্যতের কথা৷ তার চেয়ে বর্তমান চিত্র তুলে ধরা সহজ৷ ত্বকের ক্ষতি হবে, ত্বক হবে রুক্ষ৷ দেখে মনে হবে আগুনে ঝলসে যাওয়া ত্বক৷ এগুলোর ওপর আমরা কিছুটা জোর দিচ্ছি৷

কিন্তু তার পরও যেন খেলোয়ারদের হুঁশ হচ্ছে না৷ ডোপিংকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ মাদক নয় নেয়া হচ্ছে রক্ত৷ নামকরণ করা হয়েছে ব্লাড ডোপিং৷ দক্ষিণ আফ্রিকার একজন এ্যাথলেট নারী না পুরুষ তা নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরে চলেছে জল্পনা-কল্পনা৷

প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক