ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লাখো নারীর বিক্ষোভ
ওয়াশিংটনের ‘নারীদের মিছিল’-এর টানে বিশ্ব জুড়ে আয়োজিত হয়েছে বিভিন্ন ‘সিস্টার মার্চ’৷ মহিলা ও সংখ্যালঘুদের প্রতি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোই ছিল এই আন্দোলনের লক্ষ্য৷
নারী অধিকারের জন্য বিপুল সমাবেশ
প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ওয়াশিংটনের পথে নেমেছিলেন৷ মিছিলের উদ্যোক্তারা বলেন, এই প্রতিবাদ শুধু সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই নয়, নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার একটি সামগ্রিক আহ্বানও বটে৷
সংহতি
ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাজিলিয়ায় বিক্ষোভকারীরা হাতে হাতে ধরে পরস্পরের পাশে দাঁড়ান৷ সারা বিশ্বে ৬০০-র বেশি সংহতি মিছিল, সমাবেশ ও অপরাপর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়৷ এমনকি কুমেরুতে একদল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণাপোতে প্রতিবাদ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন৷
‘পাসি হ্যাট’
জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ মিছিলে এক পরিবারের সদস্যরা গোলাপি রঙের ‘বেড়ালটুপি’ পরে, ২০০৫ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মহিলাদের সম্বন্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, তার প্রতি ইঙ্গিত করেন৷
‘মমতা গড়ো, প্রাচীর নয়’
প্রতিবাদের অনেক স্লোগানের লক্ষ্য ছিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে যে প্রাচীর গড়ার হুমকি দিয়েছেন, তার প্রতি৷ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বিক্ষোভকারীরা সমতা ও সহিষ্ণুতা দাবি জানান৷
পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্যারিসবাসী
প্যারিসের প্রতিবাদ মিছিলে অন্তত ২,০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেন৷ ইউরোপ জুড়ে বহু বিক্ষোভকারী জানান যে, তারা শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়, সারা ইউরোপে উগ্র দক্ষিণপন্থিদের উত্থানের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন৷
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের চেয়ে বেশি মানুষ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কম মানুষ আসা নিয়ে বিতর্ক চলেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অনেকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন ওয়াশিংটনের সাবওয়ের ট্রেনগুলো প্রায় খালি ছিল৷ অপরদিকে শনিবার, অর্থাৎ ‘নারীদের মিছিল’-এর দিনটি ছিল ওয়াশিংটন মেট্রোর ইতিহাসে পঞ্চম সর্বাপেক্ষা যাত্রীবহুল দিবস, বলে জানিয়েছেন পরিবহণ কর্তৃপক্ষ৷
মার্কিন ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিবাদ
শনিবার দ্বিপ্রহরের মধ্যেই ম্যানহ্যাটান বিক্ষোভকারীতে ভরে যায়৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি বড় শহরে এদিন প্রতিবাদ আয়োজিত হয়৷ কিছু ভাষ্যকারের মতে এই দিনটি ছিল মার্কিন ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিবাদের দিন৷
মেক্সিকানদের রোষ
মেক্সিকো সিটিতে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করেন৷ নির্বাচনি প্রচার অভিযানে ট্রাম্পের বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের মধ্যে এই মন্তব্যটিও ছিল যে, মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনকারীদের অধিকাংশই বস্তুত অপরাধী৷