1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি কি বদলাচ্ছে?

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

প্রথমে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার ইসরায়েলের নতুন বসতি নির্মাণকে ‘বিশেষ সহায়ক নয়’ বলে বর্ণনা করেন৷ পরে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলিকে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী কার্যকলাপের’ নিন্দা করতে শোনা যায়৷

https://p.dw.com/p/2Wv59
USA Nikki Haley UN-Sicherheitsrat
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Drew

এ পর্যন্ত ট্রাম্পকে অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল৷ ক্ষমতা গ্রহণের স্বল্প আগেও তিনি ওবামা প্রশাসনের জোরালো সমালোচনা করেছেন, কেননা, ওবামা প্রশাসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলি বসতিনির্মাণের নিন্দা জানিয়ে গৃহীত প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ‘ভেটো’ প্রয়োগ করেনি৷ অনুরূপভাবে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাসকে তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করার ধুয়ো তুলেছিলেন ট্রাম্প, যদিও আপাতত তারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার এক বিবৃতিতে বলেন: ‘‘যদিও আমরা বসতিগুলির অস্তিত্বকে শান্তির পথে অন্তরায় বলে মনে করি না, নতুন বসতি নির্মাণ বা বর্তমান বসতিগুলির সম্প্রসারণ... সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক না-ও হতে পারে৷’’ অবশ্য তিনি যুগপৎ স্পষ্ট করে দেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন ‘‘বসতি নির্মাণ সংক্রান্ত গতিবিধির ব্যাপারে (এযাবৎ) কোনো সরকারি অবস্থান গ্রহণ করেনি৷’’

USA PK Sean Spicer Pressesprecher des Weißen Hauses
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসারছবি: Getty Images/AFP/B. Smialowski

স্পাইসারের এই বিবৃতির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, তিনি আদালতের নির্দেশে ধ্বংসপ্রাপ্ত আমোনা নামধারী বসতিটির পরিবর্তে ‘‘যথাশীঘ্র সম্ভব’’ নতুন বসতি নির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর৷ মনে রাখা দরকার, ১৯৯২ সাল থেকে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে কোনো নতুন বসতি স্থাপন করেনি৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানাবেন৷ তখন উভয়ের সাক্ষাতের পরিবেশ কতটা হার্দিক হবে কিংবা হবে না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমশ প্রকাশ্য মধ্যপ্রাচ্য নীতির উপর৷

রাশিয়ার নিন্দা

একদিকে যেমন ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি সাধনের কথা বলে আসছেন, তেমনই মস্কো তথা গোটা রাশিয়ায় রাজনীতিক থেকে শুরু করে মানুষজন রুশ-মার্কিন সম্পর্কে একটা নতুন যুগের সূচনা প্রত্যাশা করছিলেন এবং সে যুগ যে তুষার যুগ হবে না, তা ধরেই নেওয়া হচ্ছিল৷

কিন্তু জাতিসংঘে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি বৃহস্পতিবার বললেন, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী কার্যকলাপের’ নিন্দা করে৷ রাশিয়া ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ফিরিয়ে না দেওয়া অবধি রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বজায় থাকবে৷ এটা ছিল নিরাপত্তা পরিষদে হেইলির প্রথম আবির্ভাব৷ অবশ্য হেইলি পরে তাঁর সুর কিছুটা নরম করে বলেন, ‘‘আমরা সত্যিই রাশিয়ার সঙ্গে উন্নততর সম্পর্ক চাই৷’’

হেইলি ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো সমর্থনের কথা স্পষ্ট করে দেন: ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জনসাধারণের পাশে, যারা প্রায় তিন বছর ধরে রুশ জবরদখল ও সামরিক হস্তক্ষেপে নিপীড়িত হচ্ছেন৷ রাশিয়া ও তাদের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও রাজ্যাঞ্চলীয় অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো অবধি এই সংকট চলতে থাকবে৷’’

হেইলি যোগ করেন, ‘‘পূ্র্ব ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি এমন যে, রুশ কার্যকলাপের স্পষ্ট ও জোরালো নিন্দা না করে কোনো উপায় থাকে না৷’’ হেইলি অবিলম্বে যুদ্ধের অন্ত ও মিন্স্ক চুক্তির ‘পূর্ণ ও অব্যবহিত বাস্তবায়ন' দাবি করেন৷

জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন হেইলির সমালোচনা সম্পর্কে পরে বলেন যে, তিনি ‘‘কথার সুরে বেশ কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন৷ আমি সেটাকে ঠিক বন্ধুত্বপূর্ণ বলতে পারি না,’’ বলে চুরকিন যোগ করেন৷

এসি/এসিবি (এপি, এএফপি)