1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বপ্ন যাত্রা হলো শবযাত্রা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ জুন ২০১৪

বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে দালালদের গুলিতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন ৪০ জন৷ বুধবার সন্ধ্যায় ট্রলারটি সেন্ট মার্টিনে আনার পর, লাশগুলো উদ্ধার করা হয়৷

https://p.dw.com/p/1CGhc
Bangladesch Rohingya Bootsflüchtlinge
ছবি: Asiapics

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ‘‘কোস্টগার্ডের সদস্যরা ট্রলারটি সেন্ট মার্টিনে আনার পর ট্রলারে পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেছে৷ ট্রলারে ৪০ জনের মতো আহত যাত্রীও আছেন৷ আহত যাত্রীদের এ মুহূর্তে সেন্ট মার্টিনের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷''

তিনি জানান, মিয়ানমারের কোনো সরকারি বাহিনী নয়, দালালদের সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরেই গোলগুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া, টাকা এবং ‘আদম' ভাগ-বাটোয়রা নিয়েই দালালদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয় বলে জানান তিনি৷

ওদিকে, নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি৷ তবে আহত এবং নিহতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা৷ তাঁদের কাছে থেকে দালালরা গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে৷ জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহী ট্রলারটি দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী থেকে রওয়ানা হয়৷

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারে থাকা নরসিংদীর বীরপর অঞ্চলের মিঠুন স্থানীয় সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানান, বঙ্গোপসাগরে সেন্ট মার্টিন থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ৩০০ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি নোঙর করা ছিল৷ ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন এলাকায় পৌঁছালে আরো কিছু যাত্রী উঠার কথা ছিল৷ কিন্তু হঠাৎ করে পাশে আরো একটি মালয়েশিয়ান ট্রলারে কিছু লোকজন এসে তাঁদের ট্রলারে ওঠে৷ তাঁদের ট্রলারের যাত্রীদের জোর করে ওই ট্রলারে উঠাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে তারা গোলাগুলি শুরু করে৷

এই খবর পাওয়ার পর কোস্টগার্ডের তিনটি জাহাজ উদ্ধার অভিযানে নেমে সন্ধ্যায় ট্রলারটি সেন্ট মার্টিনে নিয়ে আসে৷ কেস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার কাজী হারুনুর রশিদ জানান বলেন, ‘‘গত পাঁচ মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ৫৩১ জনকে আটক করা হয়৷ আগে টেকনাফ ও আশেপাশের মানুষ গেলেও এখন কুমিল্লা, নরসিংদী, এমনকি উত্তরবঙ্গের লোকও এভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছে৷ নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড সবাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকলেও, দালালদের থামানো যাচ্ছে না৷''

এদিকে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই ঘটনার পর বলেন, ‘‘এভাবে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া কোনো সুস্থ মানুষের কাজ নয়৷ এ ব্যাপারে বার বার সতর্ক করা হয়েছে৷ কারণ, হয় তাঁরা পথকষ্টে মারা যাবেন কিংবা পৌঁছাতে পারলেও গ্রেপ্তার হন৷'' তাই তিনি এভাবে মালয়েশয়ায় না যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ একই সঙ্গে এই অবৈধ এবং ভয়ংকর প্রক্রিয়া বন্ধ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার অনুরোধ করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য