টোকিওতে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্দির সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত
১৯ অক্টোবর ২০০৫��িয়া জাপানী প্রধানমন্ত্রীর মন্দির সফরের সমালোচনা করেছে৷ টোকিও এর মন্দিরটিকে জাপানী সামরিকত্ববাদের প্রতীক বলে গণ্য করা থাকে বলেই কইজুমি এর সফরের বিরুদ্ধে এসব প্রতিবাদ৷
জাপানের সরকার প্রধান জুনিচুরো কইজুমি টোকিও এর ইয়াসুকুনি মন্দির পরিদর্শন করেছেন দুইদিন আগে৷ কিন্তু এখনো তাঁর এই সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে৷ চীন গত মঙ্গলবারেই ঘোষণা করেছে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী সপ্তাহান্তে তাঁর পরিকল্পিত বেজিং সফরে আসতে পারবেন না৷ দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর আসন্ন টোকিও সফর গতকাল বাতিল করেছেন৷ উত্তর কোরিয়াও জাপানী প্রধানমন্ত্রীর টোকিও এর মন্দির সফরের সমালোচনা করেছে৷ জাপানী রাজধানীর ইয়াসুকুনি যুদ্ধ মন্দিরটিকে গণ্য করা হয়ে থাকে জাপানী সামরিকত্ববাদের প্রতীক বলে৷ আর এ জন্যই এসব প্রতিবাদ৷ তবে জাপানী প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কইজুমি গতকাল বলেছেন, তাঁর সফরের মাধ্যমে এই তিন দেশের সঙ্গে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে জাপান তা মোকাবিলা করতে পারবে৷ কইজুমি বলেন, তিনি মন্দিরটি সফর করেছেন বিবেকের তাড়নায়৷ উল্লেখ্য যে, দুই হাজার এক সালের এপ্রিল মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কইজুমি বিতর্কিত মন্দিরটি পরিদর্শন করলেন পঞ্চমবারের মত৷ মন্দিরটিতে যুদ্ধে নিহত পঁচিশ লাখ জাপানীকে সম্মানিত করা হয়েছে৷ বহু সমালোচকের মতে, এভাবে জাপানের সামরিক অতীতকে বড় করে দেখানো হয়েছে৷
জাপানী প্রধানমন্ত্রীর মন্দির সফরের ওপর আশাহি পত্রিকায় একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে৷ তাতে ৪২ শতাংশ মানুষ কইজুমি এর সফরকে সমর্থন করেছেন এবং ৪১ শতাংশ তার বিরোধীতা করেছেন৷
এদিকে, তার বিতর্কিত টোকিও মন্দির পরিদর্শন বন্ধের যে আহ্বান জানানো হয়েছে জাপানী প্রধানমন্ত্রী কইজুমি তা নাকচ করে দিয়েছেন৷ কইজুমি এর গত সোমবারের মন্দির সফরের ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে কইজুমি বলেন, জাপান তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগীতা বৃদ্ধি করছে৷ তাই ঐ দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক শুধু তাঁর মন্দির সফরের ওপর ভিত্তিশীল হতে পারে না৷