1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ হামবুর্গ-হারবুর্গ

১ জুন ২০১০

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ হামবুর্গ জার্মানির অপেক্ষাকৃত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম৷ ১৯৭৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এবং খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NerU
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ হামবুর্গ-হারবুর্গে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরাছবি: dpa

১৯৮২ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ক্যাম্পাসের পরিধি বাড়ানো হয়৷ আধুনিক প্রযুক্তি এবং স্থাপত্যের সাহায্যে পুরোপুরি পাল্টে ফেলা পুরনো ধাঁচের বিশ্ববিদ্যালয়টিকে৷ বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০০ জন অধ্যাপক কর্মরত এবং তাঁদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য এবং সহযোগিতা করছে আরো দেড় হাজার অ্যাকাডেমিক স্টাফ৷ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি হামবুর্গে পড়াশোনা করছে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ তাদের মধ্যে ১৯ শতাংশ হল বিদেশী৷

Universität Hamburg - Studierende beim Lernen
পড়াশোনায় ব্যস্ত ছাত্র-ছাত্রীরাছবি: picture-alliance/ dpa

বারোটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি পাওয়া যায়৷ আর মাস্টার্স প্রোগ্রামকে ভাগ করা হয়েছে দু'ভাগে৷ জার্মান এবং ইংরেজী – এ দু'টি ভাষায় মাস্টার্স করার সুযোগ দিচ্ছে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি হামবুর্গ৷ ইংরেজী ভাষায় ১১টি বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায়৷ স্বাভাবিকভাবেই, এই কোর্সগুলো সম্পূর্ণ ইংরেজী ভাষায় পরিচালিত হয়৷

কিন্তু কেন জার্মানিতে পড়াশোনা ? সেখানে পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধার বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন বাংলাদেশের ছাত্র স্বাগত দত্ত৷ তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশ থেকে যখন আমি আসি, তখন পড়াশোনার জন্য জার্মানিকে বেছে নেওয়ার অনেকগুলো কারণ ছিল৷ এর মধ্যে অন্যতম হল প্রযুক্তি, তাদের সুনাম এবং অর্থনীতি৷ এরপর ছিল জার্মানির রপ্তানি শিল্প৷ কারণ, আমাদের যে বিষয় পড়ানো হয় তা হল ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং৷ এই বিষয়ে কাজ করতে হলে আমাদের প্রয়োজন শিল্প-কারখানার৷ আর অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে জার্মানি একেবারে শীর্ষে৷ একরণেই আমি এখানে পড়াশনোর জন্য আসি৷ কিন্তু আসার পর বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে, আমাকে মিউনিখ থেকে হামবুর্গে চলে আসতে হয়েছে৷ মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিক সমস্যা৷ মিউনিকে কাজ করা এবং একই সঙ্গে পড়া সম্ভব৷ কিন্তু তাতে প্রয়োজন অমানুষিক খাটুনির৷ প্রয়োজন অনেক বেশি পরিশ্রম৷''

20 Jahre Erasmus
সম্প্রতি এরাসমুস পালন করেছে ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

স্বাগত দত্ত বর্তমানে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন৷ কীভাবে বৃত্তি পেলেন, কোথায় যোগাযোগ করলেন ? সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ইন্টারনেটে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে জার্মানির বিভিন্ন বৃত্তি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া যাবে৷ সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে৷ আমাকেও তাই করতে হয়েছিল৷ এরমধ্যে একটি হল এরাসমুস মুন্ডস স্কলারশিপ স্কিম৷ এই স্কিমে রয়েছে অ্যাকশান ওয়ান এবং অ্যাকশান টু প্রোগ্রাম৷ অ্যাকশান ওয়ান হচ্ছে ইউরোপের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য৷ বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হয়ে থাকে৷

মাস্টার্সের পর পিএইচডি করতে চান নাকি দেশে ফিরে যেতে চান ? এ প্রশ্নের উত্তরে স্বাগত দত্ত জানান, ‘‘আমার ইচ্ছে মাস্টার্সের পর পিএইচডি করার৷ আর সেটাও আমি বৃত্তি নিয়েই করতে চাই৷ আশা করছি পারবো৷ এটা না হলে অন্য কোন দেশে যাওয়ার ইচ্ছে আছে৷ তবে এখানে থাকলে অবশ্যই পিএইচডি করবো৷''

Deutschland Hamburg Schiff Erster Frachter mit Hilfssegelantrieb in Hamburg getauft
বন্দরনগরী হামবুর্গছবি: picture-alliance/ dpa

বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী কেউ যদি জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আসতে চায়, তাহলে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে ? স্বাগত দত্ত জানলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু বিষয় ইংরেজিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে এখানকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়৷ এ কারণেই আমরা আসতে পারছি, জার্মানিতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছি৷ আসলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, কেউ যদি জার্মানিতে আসতে চায় তাহলে তাঁর অবশ্যই জার্মান শিখে আসা উচিৎ এবং মাধ্যম হিসেবে অবশ্যই জার্মান ভাষাকে বেছে নেওয়া উচিৎ৷ কারণ, ইংরেজি ভাষা হচ্ছে শুধু ছাত্র-ছাত্রী আনার জন্য৷ পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খুঁজতে গেলে তখন জার্মান ভাষার প্রয়োজন৷ তখন বোঝা যায় জার্মান শেখা কত জরুরি৷ প্রতিদিনের চলাফেরা করার জন্যও জার্মান ভাষার প্রয়োজন৷ সেটা অনায়াসেই বলে দেওয়া যায়৷''

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ঢাকাস্থ গ্যোটে ইন্সটিটিউট এবং ভারতের মাক্স মুলার ভবনে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বৃত্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নানা ধরণের তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদন: সঞ্জীব বর্মন