টিম স্পিরিটের জন্য চাই লং মার্চ!
১৯৩৪ সালে রেড আর্মির প্রখ্যাত লং মার্চ থেকে মাও সে তুং-এর উত্থান শুরু হয়েছিল৷ আজকের চীনে ছাত্র ও সরকারি কর্মচারিরা আদত স্থানগুলিতে গিয়ে ‘লং মার্চ’ করে নিজেদের টিম স্পিরিট বাড়িয়ে থাকেন৷
৩৭০ দিনের পরিবর্তে তিন দিন
মাও সে তুং ও চৌ এনলাই-এর নেতৃত্বে ইয়াংক্সি থেকে শানক্সি অবধি পশ্চাদপসারণ করতে রেড আর্মির সৈন্যদের লেগেছিল ৩৭০ দিন৷ আজ যারা ইয়াংক্সিতে জিংগাং পাহাড়ের কোলে রেড আর্মির সৈন্যদের সাজে ও ভূমিকায় দিন তিনেক ‘লং মার্চ’ করে তাদের টিম স্পিরিট বাড়ান, তারা হলেন আধুনিক চীনের প্রতীক৷
হাতে লাল পতাকা, পায়ে স্নিকার্স
সুন্দর পিচ- ঢালা রাস্তায় কুচকাওয়াজের জন্য তো আর ভারী বুট পরে লাভ নেই৷ তবে রেড আর্মির সৈন্যদের উর্দি গায়ে, কাঁধে তাদের মতো ব্যাগ ঝুলিয়ে, পতাকা হাতে সেই মরণপণ অভিযানের দৃশ্য অভিনয় করতে নিশ্চয় ভালোই লাগে৷
মাও বা চৌ-কে স্মরণ করাও একটা কর্তব্য
অতীতের লং মার্চের তত্ত্ব বা ইতিহাসগত দিকটা অবহেলা করা হয় না৷ ‘চীনা সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের’ ‘প্রথম রণাঙ্গণ বাহিনী’ যখন ইয়াংক্সি প্রদেশে চিয়াং কাইশেকের সৈন্যদের আক্রমণে প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে, তখন মাও সে তুং, চৌ এনলাই ও ঝু দে প্রমুখ নেতারা তাদের উত্তর ও পশ্চিম দিক দিয়ে ৯,০০০ কিলোমিটারের লং মার্চ করিয়ে শানক্সিতে নিয়ে আসেন – যা আজ চীনা কমিউনিস্ট কিংবদন্তির অঙ্গ৷
চীনের মাউন্ট রাশমোর
লং মার্চের রুটে যাবার মজাই তো হলো মোবাইল টেলিফোন দিয়ে ছবি তুলে রাখা – বিশেষ করে যেখানে মার্কিন কায়দায় পাহাড়ের গায়ে মাও সে তুং, ও লং মার্চ চলাকালীন তাঁর ঘনিষ্ঠতম সহযোগী ঝু দে-র মুখ খোদাই করা রয়েছে৷
ঝোলানো ব্যাগের ওপর মাও-এর ছবি
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর কাছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির গৌরবমণ্ডিত অতীতের স্মৃতিচারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধির মাধ্যমেই পার্টির একনায়কত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না৷ সেই কারণে অতীত ইতিহাসও পার্টির শাসনের বৈধতার একটি স্তম্ভ৷
সবে মিলে করি মার্চ...
জীবনযুদ্ধের একক সৈনিকরা এখানে অফিস বা ইউনিভার্সিটির চাপের কথা ভুলে পাহাড়ে ট্রেকিং-এর পর বেস ক্যাম্পে পৌঁছে টিম স্পিরিট তথা ‘বিপ্লবের আদর্শকে’ অনুভব ও উপভোগ করতে পারেন৷
ধ্বনি-প্রতিধ্বনি
‘‘নিজের আদর্শ অনুসরণে হাল ছেড়ো না; নতুন পথে যাবার জন্য বাস্তবেই সত্য খোঁজার চেষ্টা করো; প্রতিবন্ধক দূর করার জন্য অনমনীয়ভাবে লড়ো; জয় অর্জনের জন্য জনগণের উপর আস্থা রেখো৷’’
শেষমেষ ক্যান্টিনের সুপ...
...এককালে রেড আর্মির সৈন্যরা যেমন খেতো৷ ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সালের ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ডে’ যে লক্ষ লক্ষ মানুষ চীনে ক্ষুধায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের কথা এখানে স্মরণ না করাই ভালো৷