1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিউনিশে ব্লগারদের মিলনমেলা

২৪ নভেম্বর ২০১১

টিউনিশিয়ার বিপ্লবে বড় রকমের এক ভূমিকা পালন করেছে ফেসবুক, ব্লগ এবং ব্লগাররা৷ তারই প্রেক্ষাপটে রাজধানি টিউনিসে ব্লগাররা মিলিত হচ্ছেন ইয়ং মিডিয়া সম্মেলনে৷

https://p.dw.com/p/13Gj3
টিউনিশিয়ার ব্লগার লিনাছবি: DW

চলতি মাসের ২৮ থেকে ৩০শে নভেম্বর প্রায় ৩০ জন ব্লগার উপস্থিত হচ্ছেন এই সম্মেলনে৷ মরিশাস, মরক্কো, আলজেরিয়া, টিউনিশিয়া, লিবিয়া এবং জার্মানি থেকে যাচ্ছে৷ সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় হল সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা৷ এই সম্মেলন আয়োজনে ডয়চে ভেলের এ্যাকাডেমিও যুক্ত৷

টিউনিশিয়ার গণ অভ্যুত্থানে ব্লগ গ্রুপ নাওয়াত এবং রেডিও স্টেশন কালিমা প্রতিটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল মানুষের কাছে৷ রামজি বেত্তাইব নাওয়াতের একজন সদস্য৷ এই সম্মেলনের আয়োজকদেরই একজন তিনি৷ ২০০৪ সাল থেকে তাদের ব্লগ সম্মিলিতভাবে কাজ করছে৷ রাজনীতি এবং সামাজ সম্পর্কিত কোন কিছুই তারা বাদ দিচ্ছে না৷ গণ অভ্যুত্থানের সময়ও এর নড়চড় হয়নি৷ বরং তখন আরো গভীর মনযোগ দিয়ে তারা কাজ করেছে৷ বেত্তাইব বলছেন, ‘‘সবকিছুর খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আমরা কথা বলি না, সেসব তথ্য ব্লগেও তুলে দেই না৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আমরা সবসময়ই তুলে ধরি৷ যখন কোন সমস্যা হয় সামাধান চেয়ে সেই সমস্যার কথাও আমরা তুলে ধরি৷ ঠিক যেভাবে টিউনিশিয়ার বিপ্লবকে আমরা তুলে ধরেছি৷ সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেছি৷''

Flash-Galerie Screenshot http://nawaat.org/portail/
ব্লগ গ্রুপ নাওয়াতছবি: http://nawaat.org/portail/

টিউনিশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বেন আলির আমলে অনেক কিছুর ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল৷ বেশির ভাগ ব্লগাররা এসব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে৷ মারওয়ান বেন মেসাউদ আইটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ লেখেন৷ এই বিষয় নিয়ে ফ্রান্সে পড়াশোনা করেছেন তিনি৷ ওয়েব সাইট তৈরি করায় তিনি অত্যন্ত দক্ষ৷ ২০০৯ সালে তিনি ফিরে যান টিউনিশিয়ায়৷ তখন তিনি হঠাৎ করেই খেয়াল করেন তার তৈরি নিজস্ব কোন ব্লগে তিনি নিজেই ঢুকতে পারছেন না৷ সব কিছুই ব্লক করা৷ এমনকি ইউটিউবও৷ তখন তিনি প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েন৷ গণ অভ্যুত্থানের পর তার ব্লগ আবারো সচল হয়েছে৷ তিনি পুরোদমে কাজ করছেন৷ এখন তিনি রাজনীতি নিয়েই বেশি লেখালেখি করেন৷ টিউনিশিয়ার রাজনীতি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক রচনা লেখেন৷ বর্তমান টিউনিশিয়ার বিভিন্ন চিত্রও তিনি তুলে ধরেন তার লেখায়৷ মেসাউদ বলেন, ‘‘আমি আমার বার্তা পৌঁছে দেই সেই সঙ্গে একটু মজাও করি৷ সবাই পড়ার সময় একটু হাসে৷ এটাই আমার কাজ, আমি এটাই করি৷ এখানে অনেক মানুষ আছে যারা সভ্য-সমাজের বাসিন্দা৷ তারাও কিছু বলতে চায়, কিছু জানাতে চায়, কিছু লিখতে চায়৷ সবার কথা আমি একা বলতে পারবো না৷ অনেক কিছুই আমিও সরাসরি বলতে পারবো না৷ তাই আমি ব্লগের সাহায্য নিয়েছি৷ সেখানেই লেখালেখি করি৷''

ইয়ং মিডিয়া সম্মেলনে টিউনিশিয়ার অনেক ব্লগার উপস্থিত থাকবে৷ আরব বিশ্বের অন্যান্য ব্লগার ছাড়াও জার্মানির বিভিন্ন ব্লগারদের সঙ্গে এরা সময় কাটাতে পারবে, ভাবের আদান-প্রদান হবে৷ আলোচনা এবং ওয়ার্কশপের পাশাপাশি টিউনিশিয়ার মূল চত্বর – যেখানে অভ্যুত্থান তুঙ্গে উঠেছিল সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে অতিথিদের৷ মারওয়ান বেন মেসাউদের মতে টিউনিশিয়ার অভ্যুত্থানকে খুব কাছ থেকে দেখার একটি সুযোগ পাবে সবাই৷ এছাড়া ব্লগ, ব্লগার এবং সোশ্যাল মিডিয়া যে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তাও সবাই জানতে পারবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হব – ভেবেই আনন্দ হচ্ছে৷ অন্যান্য আরব দেশ এবং ইউরোপে ব্লগাররা কীভাবে কাজ করে, টিউনিশিয়ার গণ অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তাদের মতামত জানতে পারবো৷ এছাড়া অন্যান্য দেশ সম্পর্কে তারা কী ভাবছে তা নিয়েও আলোচনা সম্ভব হবে৷ আলজেরিয়া এবং মরক্কোতে কোন অভ্যুত্থান না হলেও সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করছে সবাই৷ পরিবর্তনের দাবি উঠেছে৷ তা নিয়ে আমরা কথা বলার সুযোগ পাবো৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য