সংকটে আরব বসন্ত
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩বুধবার আততায়ীর গুলিতে নিহত হন অসাম্প্রদায়িক দলগুলোর জোট পপুলার ফ্রন্ট-এর প্রধান শোকরি বেলাইদ৷ বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি গাড়িতে উঠছিলেন, তখনই তাঁকে গুলি করে আততায়ীরা৷ এর প্রতিবাদে সারা টিউনিশিয়াতেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ৷ বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে এক পুলিশের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷
এদিকে বিক্ষোভের মুখে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হামদি জেবালি৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, অথচ যোগ্য, এমন লোকদের নিয়ে সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’
তিনি জানান, বর্তমান সংসদ তিনি ভেঙে দেবেন আর তারপর অস্থায়ী সরকারের অধীনে হবে সংসদ নির্বাচন৷ তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাঁর দল এন্নাহদার ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দেল হামিদ জেলাসি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দলের মতামত নেননি৷ এন্নাহাদা মনে করে দেশে এ মুহূর্তে রাজনৈতিক সরকার থাকা দরকার৷’’ প্রধান বিরোধীদলগুলোও এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রীর এসব আশ্বাসের পরও অবশ্য বিক্ষোভের আগুন নেভেনি৷ পপুলার ফ্রন্ট ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷ বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার মানুষ বৃহস্পতিবার সরকারের পতন দাবি করে স্লোগান দিয়েছেন৷ বেশি শোনা গেছে স্বরাষ্টমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি৷ বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বিরোধী নেতা চোকরি বেলাইদকে যে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেটা জানতেন, কিন্তু জেনেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি৷ আবার বিরোধী নেতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের প্রধান রাচেদ ঘানৌচিকে দায়ী করেও স্লোগান দেয়া হয় বিভিন্ন শহরে৷ শোকরি বেলাইদের ভাই আব্দেল মাজিদ বেলাইদ বার্তাসংস্থা ডিপিএকে বলেছেন, ‘‘আমার ভাই খুন হওয়ায় আমি বেপরোয়া এবং হতাশ৷ ভাই নিহত হওয়ার জন্য আমি রাচেদ ঘানৌচিকে দায়ী মনে করি৷’’
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)