1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাকার পতনে খাদ্য সুরক্ষা বিলের অভিঘাত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৯ আগস্ট ২০১৩

সংসদে ব্যয়বহুল খাদ্য সুরক্ষা বিল পাস হলে সরকারের বাড়তি খরচ হবে বছরে এক লাখ তিরিশ হাজার কোটি টাকা৷ দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষকে দেয়া হবে কম দামে খাদ্যশস্য পাবার আইনি অধিকার৷ কিন্তু এতে রাজকোষে নেতিবাচক প্রভাব যেতে পারে বেড়ে৷

https://p.dw.com/p/19Y4l
ছবি: AP

সংসদীয় নির্বাচনের মুখে খাদ্য সুরক্ষা বিল সংসদে পাস করিয়ে ভোট ব্যাংকের চাবিকাঠিটা হাত করতে চাইছে কংগ্রেস৷ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ঐ বিল পাস করাতে বেগ পেতে হয়নি কংগ্রেসের৷ বিনা সংশোধনীতেই তা পাস হয়েছে৷ কিন্তু উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কংগ্রেস-জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্টতা না থাকায় অসুবিধা হতে পারে৷ তবে যেহেতু বিলের উদ্দেশ্য মহৎ, তাই ভোটের কথা মাথায় রেখে কোনো বিরোধী দলই এর সরাসরি বিরোধীতা করতে সাহস পাবে না৷ বড় জোর সংশোধনী আনতে পারে৷ আর সেটা পাস হলে, আবারো তা পাস করাতে হবে লোকসভায়৷

সংসদে যদি পাস হয়ে যায়, তাহলে দেশের জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ, অর্থাৎ ৮২ কোটি মানুষ পাবে অল্প দামে খাদ্যশস্য পাবার আইনি অধিকার৷ মাথা পিছু প্রত্যেককে দেয়া হবে পাঁচ কেজি চাল বা গম৷ এ জন্য সরকারের বছরে বাড়তি খরচ হবে প্রায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার কোটি টাকা৷ এই বাড়তি ব্যয়ের বোঝা সামলাতে অবধারিতভাবে বাড়বে রাজস্ব ঘাটতি৷

এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থার মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম৷ প্রবৃদ্ধির হার আটকে আছে পাঁচ শতাংশের নীচে৷ মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ ডলার আসার চেয়ে ডলার বেরিয়ে যাচ্ছে বেশি৷ অর্থাৎ, চলতি খাতে ঘাটতির রাশ টানতে অপারগ সরকার৷ অন্যদিকে, অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, আমদানিকারকদের কাছে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি, সরকারের কাজকর্মে একটা স্থবিরতা, দিশাহীনতা এসে যাওয়া, সময়মতো কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া ইত্যাদি কারণে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হতদ্যোম হয়ে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে ডলার তুলে নিয়ে মার্কিন এবং ইউরোজোনের দেশগুলিতে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী৷ এইসব কারণের প্রত্যক্ষ অভিঘাতে টাকার অবমূল্যায়ন রুখতে পারছে না সরকার৷ যদিও সরকার বলছে, দেশে যথেষ্ট বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় আছে৷

খাদ্য সুরক্ষা আইন শুনতে যতটা ভালো, এর বাস্তবায়ন ততটাই কঠিন৷ এই আইন কার্যকর করতে এই মুহূর্তে তার পরিকাঠামো আছে কিনা – সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷ হালে সরকারের পরিসংখ্যানেই বলা হয়েছে যে, গত তিন বছরে গুদামের অভাবে ১৭ হাজার ৩০০ টন খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে গেছে, যা দিয়ে সাত কোটি মানুষের খিদে মেটানো যেত৷ ৮২ কোটি লোককে মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য দিলে ৪১ কোটি টন খাদ্যশস্য লাগবে প্রতি মাসে, বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টন৷ সেটা সুরক্ষিতভাবে রাখার ব্যবস্থা করা, সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেবার জন্য গণবণ্টনের উপযুক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করা, দুর্নীতির কোপে পড়ে যাঁদের পাবার কথা, তাঁরা যেন বঞ্চিত না হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য