1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি ‘দ্য কিং’স স্পিচ’

২০ সেপ্টেম্বর ২০১০

এগারো দিনের টরোন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী হলো রবিবার৷ ৩৫তম টরোন্টো উৎসবে সেরা ছবির পদক পেল ‘দ্য কিং’স স্পিচ’ তথা রাজার ভাষণ৷

https://p.dw.com/p/PGEv
Actor, Denzel, Washington, টরোন্টো, চলচ্চিত্র, উৎসব, ‘দ্য কিং’স স্পিচ’
টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে অভিনেতা ডেনজেল (ফাইল ছবি)ছবি: AP

টম হুপার এর পরিচালনায় ছবিটিতে রাজা ষষ্ঠ জর্জ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কলিন ফার্থ৷ রাণী মা'র ভূমিকায় ছবিতে কাজ করেছেন হেলেনা বোনহ্যাম কার্টার৷ আর এই ব্রিটিশ রাজার অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক হিসেবে ছবিটিতে রয়েছেন জিওফ্রি রাশ৷ টরোন্টো পদক জিতে অস্কার জয়ের পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল ‘রাজার ভাষণ', মন্তব্য টরোন্টো উৎসবের পরিচালক পিয়ার্স হ্যান্ডলিং'এর৷ কারণ এর আগে টরোন্টোয় সেরা পদক জয়ী ছবি ‘আমেরিকান বিউটি', ‘ক্র্যাশ' এবং ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার'ও অস্কার জয় করেছিল৷

এছাড়া চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছেও ইতিমধ্যেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘রাজার ভাষণ'৷ সেরা পদক জয়ের পর হুপার বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, সবাই এই ছবিটির ব্যাপারে এতোটা ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন৷''

সার্বিক বিবেচনায় টরোন্টোয় দ্বিতীয় সেরা পদকটি গেছে ব্রিটিশ পরিচালক জাস্টিন চ্যাডউইকের ঘরে৷ চ্যাডউইকের ছবি ‘দ্য ফার্স্ট গ্রেডার' মনোনীত হয়েছে রানার-আপ৷ ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে আশি বছর বয়সি এক নিরক্ষর মানুষের চিত্র৷ তিনি এই বয়সেও সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ নিতে কেনিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন৷

উল্লেখ্য, ৫৯ টি দেশের ৩৩৯ টি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে এবারের টরোন্টো উৎসবে৷ এগুলোর মধ্যে সমালোচকদের বিবেচনায় সেরা পদকটি পেল পরিচালক শন কু'র ছবি ‘বিউটিফুল বয়'৷ ছবিটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক দম্পতির ঘটনা৷ তাদের ছেলে একটি কলেজে এলোপাতাড়ি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত - এমন খবরের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে তাদের কাহিনী৷ এই তালিকায় দ্বিতীয় সেরা হলো পরিচালক পিয়েরে থরেটনের ছবি ‘ল্য‘আমুঁ ফউ'৷

এছাড়া প্রামাণ্য চিত্রের মধ্যে সেরা পদক পেয়েছে ক্যানাডীয় পরিচালক স্টার্লা গানার্সনের ‘ফোর্স অব ন্যাচার: দ্য ডেভিড সুজুকি মুভি'৷ ক্যানাডীয় পরিবেশবিদ ডেভিড সুজুকির জীবনকর্ম ঘিরেই রচিত হয়েছে এই ছবির দৃশ্যপট৷ এই তালিকায় রানার-আপ হলো প্যাট্রিসিয়া গুজম এর ‘নস্টালজিয়া ফর দ্য লাইট'৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক