জেনে নিন খালি পায়ে হাঁটবেন কেন?
জানেন কি আপনার শরীরে দিনে কতটা পানি প্রয়োজন? কিংবা খালি পায়ে হাঁটা কতটা স্বাস্থ্যকর, আর আলজহাইমারকে দূরে থাকার উপায়ই বা কী? কিংবা হাড়কে শক্ত রাখতে কী করবেন? জেনে নিন৷
খালি পায়ে হাঁটা
আপনি কি খালি পায়ে হাঁটতে পছন্দ করেন? এর উত্তর হ্যাঁ হলে বলা যায় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো, কারণ উঁচু নীচু জায়গায় হাঁটার ফলে পায়ের পেশিগুলি শক্ত হয়৷ হাঁটতে অসুবিধা হয় বা পা ফেলেন ভুল পোজিশনে – এমন মানুষও খালি পায়ে হাঁটলে তা ঠিক হয়ে যেতে পারে৷ তবে লক্ষ্য রাখা দরকার যেন রাস্তায় কাঁটা, পাথর, কাচের টুকরো বা এ ধরনের কিছু না থাকে৷
ব্যায়াম করুন, আলজহাইমারকে দূরে রাখুন
ব্যায়াম শুধু শরীর নয় মস্তিষ্ককেও সচল ও সুস্থ রাখে৷ এই তথ্য জানা গেছে ক্যানাডায় করা এক সমীক্ষা থেকে৷ ৬৫ বছরের বেশি বয়সি যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করছেন, তাদের শরীরের রক্তসঞ্চালন এবং মস্তিষ্কও অন্যদের তুলনায় আরো বেশি সচল থাকে৷ এবং খেলাধুলা করা বাচ্চরা পরীক্ষায় ফলাফল করছে৷ সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে ছোটবড় সবাই যারা শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করে, তারা স্মৃতিভ্রষ্ট, ডিমেনশিয়া এবং আলজহাইমার-এর মতো রোগে কম ভোগে৷
মানুষ অভ্যাসের দাস
আচ্ছা ছুটির পরের দিন সকালে মানুষ এতো ক্লান্ত থাকে কেন বা আর ঘুম থেকেই উঠতেই বা কষ্ট হয় কেন? এর কারণ খুঁজে বের করেছে জার্মানির জনমত গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘ফর্সা’৷ ছুটির দিনে বেলা করে ওঠা এবং বেশি রাতে ঘুমানোর ফলে পুরো সপ্তাহের অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটার কারণে সপ্তাহের শুরু বা সোমবার শরীরে ‘উইকেন্ড জেটল্যাগ’-এর অনুভূতি হয়৷ সোমবার কোনো জার্মানকে কেমন আছেন জানতে চাওয়া হলে উত্তর হয় ‘সোমবারের মতোই৷’
দিনে কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন?
এ নিয়ে একটি অস্পষ্ট ধারণা থাকলেও এবার স্পষ্ট সমাধান দিয়েছেন জার্মানির পুষ্টিবিদ সিল্কে রেস্টেমায়ার৷ তাঁর মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মোট দেড় লিটার পানি সারা দিনে ভাগ করে পান করা উচিত৷ তবে কোনোভাবেই যেন এই পুরো পানি একবারে না পান করা হয়৷ কারণ তাহলে রক্তের সোডিয়াম সাময়িকভাবে একদম নীচে নেমে যেতে পারে৷ তবে খেলোয়াড় বা শারীরিক পরিশ্রম যারা করেন, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম হতে পারে৷
হাড় শক্ত রাখতে কী করবেন ?
হাড়কে শক্ত করতে হলে হাড়ে চাপ প্রয়োজন, তা না হলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে সাধারণ হাঁটা বা দৌড়ানোতে তেমন চাপ পড়েনা৷ তাই প্রয়োজন নিয়মিত জোরে জোরে হাঁটা, লাফানো বা শক্ত ট্রেনিং, যেন বোঝা যায় যে হাড়ের ভেতর চাপ অনুভূত হচ্ছে৷ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে৷ আলাদাভাবে হাড়ের ব্যায়াম না করলে পরে হাড়ের ক্ষয়রোগ হতে পারে৷