ঈদের খুশির রেশ
৩১ জুলাই ২০১৪সামহয়্যারইন ব্লগে নিজেকে ‘প্রবাসী' পরিচয় দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এহশান সরকার৷ ‘সামু' ব্লগারদের ঈদ-শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন,
‘‘এবারের ঈদটা খুব একা একা লাগচ্ছে৷ আর লাগবে নাইবা কেন, মা-বাবার কাছ থেকে হাজারো মাইল দূরে যে বসে আছি৷ এটাই প্রথম না যদিও, ১২টি ঈদ করেছি একা একা এর আগেও৷ কিন্তু আর যেন পারছি না৷ তাদেরকে কখনো এমন করে মিস করিনি আজ যেমনটা করছি৷ আর আমার মা ....... তার ঈদ বলতেই তো শুধু চোখের পানি আমার জন্য৷ আসলে দূরে থাকলেই বোঝা যায় মা বাবাকে কতটা ভালোবাসি৷''
ভালোবাসা অনেক সময়ই দূরে গেলে বেশি অনুভবে আসে৷ সামহয়্যারের আরেক ব্লগার এবং ছড়াকার সুমাইয়া বরকতউল্লাহকে অবশ্য দূর থেকে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা উপলব্ধি করতে হয়নি৷ বরাবরের মতো এবারও ছড়াতেই মনের কথা বলেছেন সুমাইয়া৷ এবারের ছড়া ঈদ নিয়ে৷ ছড়ার নাম, ‘‘নতুন টাকার সেলামিটা ছিল পাশাপাশি''৷
লেখা পড়লেই বোঝা যাবে, এবারের ঈদ-উল-ফিতর কেমন কেটেছে সুমাইয়ার৷ সাধারণ বাঙালি মুসলমান পরিবারের ঈদের চিত্রই ফুটে উঠেছে তাঁর ছড়ায়৷ সুমাইয়ার ছড়াটি এমন:
‘‘হই হই হই ভাইয়া আপু, কেমন আছো বলো
মুখটা খুলে বলোতো ভাই, ঈদটা কেমন হলো৷
হাতে পায়ে সেলাম এবং মুখে ছিলো হাসি
নতুন টাকার সেলামিটা, ছিলো পাশাপাশি৷
ঈদের শেষে অনুষ্ঠানের নানা আয়োজনে
মিলে ছিলাম আমরা সবাই খুশির প্রয়োজনে৷
হাসি-খুশি, দেখা-শোনা, সব হয়েছে শেষ
জেগে আছে মনের মাঝে, ঈদের খুশির রেশ৷
ঈদকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিও, লিখে দুতিন লাইন
তা-না হলে বন্ধু প্রতি, একশ টাকা ফাইন!!''
লুৎফুর মুকুলের ছড়ার নাম ‘বুঝি, বুঝি'৷
কী কী বোঝেন? যা যা বোঝেন তার মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্ভবত রাজনীতিবিদদের বুঝতে পারা৷ ঈদের পরেই বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দান আবার উত্তপ্ত হতে পারে৷ তার আগে লুৎফুর তাঁর ছড়ার শুরুতে লিখেছেন,
‘‘ব্যাকরণ কাল বুঝি,
নদী-নালা খাল বুঝি,
তুলতুলে গাল বুঝি,
নেতাদের চাল বুঝি...''
ঈদের পর সরকারি এবং বিরোধী দলের মধ্যে সংঘাত শুরুর আশঙ্কা রয়েছে৷ সংঘাত যে কোনো সুফল বয়ে আনে না, রাজনীতিবিদরা যদি তা বুঝতেন!
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক