1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডায়ালিসিস

গুডরুন হাইসে/আরবি২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩

কিডনির কাজ হলো শরীরের বিষাক্ত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেওয়া৷ এছাড়া শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা করে কিডনি৷ আর এই অঙ্গটি অচল হয় পড়লে ডায়ালিসিস ছাড়া জীবন রক্ষার আর কোনো উপায় থাকে না৷

https://p.dw.com/p/19p4F
ছবি: Getty Images

৪০ বছর ধরে ভিলি কোলার ডায়ালিসিসে আবদ্ধ৷ সপ্তাহে তিনদিন তাঁকে ডায়ালিসিস নিতে হয়৷ প্রতিবার আট ঘণ্টা৷ তাঁর কিডনি যে কাজটি করতে পারে না, সেটির ভার নেয় মেশিন৷ পরিশোধন করে রক্ত৷

প্রেরণা জাগায় ডায়ালিসিস

১৫ বছর বয়সে ডাক্তার জানান যে তাঁর কিডনির মাত্র ছয় মাস কাজ করতে পারবে৷ এটা রীতিমত একটা ‘শক' ছিল, বলেন ভিলি কোলার৷ প্রথম দিকে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ নিজের ঘরে মন খারাপ করে বসে থাকতেন৷ কিন্তু কিছুদিন পর উঠে দাঁড়ান৷ ‘‘জীবন তো এগিয়ে যাবে৷ ডায়ালিসিস তো মৃত্যর পরোয়ানা নয়৷ বরং উল্টোটাই৷ আমি খুব শিগগরই বুঝতে পারি, এই মেশিনই আমার জীবন রক্ষা করবে৷ যা আসলে ইতিবাচক'', বলেন ভিলি কোলার৷

রক্ত শুধু পুষ্টিকর পদার্থই নয় বিষাক্ত পদার্থও পরিবহণ করে৷ কিডনি এই বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করে এবং তা প্রস্রাব হয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যায়৷

যাদের কিডনি ঠিক মতো কাজ করে না, যেমন ভিলি কোলারের মতো মানুষদের বেলায় সেই কাজটি করে থাকে ডায়ালিসিস মেশিন৷ রোগীর শরীর থেকে রক্ত একটি নলের মাধ্যমে ডায়ালিসিস মেশিনে আনা হয়৷ সেখানে বিষাক্ত পদার্থ আলাদা করা হয়, যা মূত্র আকারে বের হয়ে যায়৷ অন্যদিকে পরিশোধিত রক্ত আবার শরীরে ঢোকানো হয়৷ এইভাবে সপ্তাহে তিনবার রক্তশোধন করা হয়৷

Symbolbild Tierversuche
ডায়ালিসিস করার সময় একটি সুঁই শিরার ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ছবি: picture-alliance/CTK Rene Volfik

কিডনি রোগীর সংখ্যা কম নয়

জার্মানিতে প্রায় ৮০০০০ ডায়ালিসিস রোগী রয়েছেন৷ ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রোগী ডায়ালিসিস কেন্দ্রে গিয়ে রক্তশোধন করান৷ অল্পসংখ্যক রোগী বাড়িতেই এই কাজটা সারেন৷

ভিলি কোলারও কিছুদিন বাড়িতে ডায়ালিসিস করেছেন৷ কিন্তু তাঁর মতে এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বাড়িতে ডায়ালিসিস করলে সবকিছুই নিজের করতে হয়৷ শিরায় সুঁই ফোটাতে হয়৷ এই কাজটা আবার নিজে করা যায় না, প্রয়োজন হয় অন্যের সাহায্য৷ তাই স্বামী বা স্ত্রীর ওপর চাপ পড়ে৷''

কোলারের কাছে এটা অস্বস্তিকর মনে হয়েছে৷ তিনি স্ত্রীকে চাপ দিতে চাননি৷ তাই ডায়ালিসিস কেন্দ্রে গিয়েই কাজটা করাচ্ছেন৷ ‘‘আমাকে ডায়ালিসিস করাতেই হবে৷ নয়ত মারা যাব'', বলেন কোলার৷

‘শান্ট' পদ্ধতি

ডায়ালিসিস করার সময় একটি সুঁই শিরার ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ লক্ষ্য রাখা হয় যতটা সম্ভব বেশি রক্ত দ্রুত শরীর থেকে বের করে নেওয়া যায়৷ সেজন্য রক্ত বের করার পথটি বড় হতে হবে৷ এক্ষেত্রে তথাকথিত একটি শান্ট ব্যবহার করা হয়৷ বাহুতে একটি ছোট অপারেশন করে শিরা ও ধমনিকে সংযুক্ত করা হয়৷

শান্ট পদ্ধতি ৬০-এর দশকের প্রথম দিকে শুরু হয়েছে, বলেন ক্রেফেল্ড-এর কিডনি সেন্টারের প্রফেসর ডিটার বাখ৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এই পদ্ধতিতে একটি বড়, চওড়া, লম্বা শিরা পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে ভালোভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য