জাহাজের জন্য দুনিয়ার প্রথম ‘টানেল’
জাহাজের জন্য দুনিয়ার প্রথম সুড়ঙ্গপথ বানাতে চলেছে নরওয়ে৷ পাহাড় ফুটো করে টানেল বানিয়ে এই পন্থায় দেশের অভ্যন্তরে হ্রদগুলোকে সাগরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হলো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য৷
সাগর আর হ্রদের মিলন
‘নরওয়েজিয়ান সি’-কে উত্তর সাগরের সঙ্গে জোড়া হবে৷ প্রকল্পের জন্য ২৭ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে৷
বিশ্বের প্রথম জাহাজের টানেল
২০১৮ সালে এই টানেল তৈরির কাজ শুরুর কথা থাকলেও ২০২৩ সালে এটি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ পাথর কেটে একটি ৩৭ মিটার উঁচু ও ২৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া সুড়ঙ্গ বানানো হবে৷ সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার৷
জলপরিবহণের বিস্তার
সুড়ঙ্গ তৈরি করার জন্য ৭৫ লাখ টন পাথর সরাতে হয়েছে৷ সাইট থেকে যে পাথর কাটা হবে, তা জাহাজে করেই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে৷
সুড়ঙ্গে ধীরগতি
সুড়ঙ্গ দিয়ে যাবার সময় বিশেষ করে বড় জাহাজগুলোকে সাবধান হতে হবে, কেননা দু’পাশে আড়াই মিটারের বেশি জায়গা থাকবে না৷ কাজেই জাহাজের গতি হবে পাঁচ থেকে আট ‘নট’৷ একটি জাহাজকে আগের বা পরের জাহাজ থেকে ৪০০ মিটার দূরত্ব রেখে চলতে হবে৷ তা সত্ত্বেও এই টানেলের কল্যাণে জাহাজগুলো দশ মিনিটের মধ্যেই সাগরে গিয়ে পড়বে৷
মাল পরিবহনের সমস্যা সমাধান
বর্তমানে কিয়োডসপোলেন খাড়ি অবধি ভারী মালপত্র পৌঁছানোর জন্য লরি বা ট্রাকের প্রয়োজন পড়ত৷ মাল বেশি হলে ট্রাকগুলোকে বেশ কয়েক চক্কর লাগাতে হতো৷ সুড়ঙ্গ তৈরি হবার পর ১৬,০০০ মেট্রিক টন ওজনের জাহাজ এই পথে যাতায়াত করতে পারবে৷ এক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচটি জাহাজ এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে৷
টানেলের দরকার পড়ল কেন?
বিমানে করে কিয়োডসপোলেন খাড়ি অবধি পৌঁছানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার৷ ‘ফিয়র্ড’-এর আবহাওয়া প্রায়ই খারাপ থাকে৷ উপদ্বীপে ৪৫ থেকে ১০৬ তীব্রতার ঝড় বয়৷ সুড়ঙ্গ তৈরির ফলে মাল পরিবহন সহজ আর ‘ওয়েদারপ্রুফ’ হবে, বলে সরকারের প্রত্যাশা৷
সময় বাঁচবে
সুড়ঙ্গ তৈরির ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টার পথ কমবে৷ এছাড়া আবহাওয়া ভালো হওয়ার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে না – এ এলাকায় যা প্রায়ই ঘটে থাকে৷ ২০২৫ থেকে ২৬ এর মধ্যে এটি দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হতে পারে৷