1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাহাজ ডুবির জন্য উত্তর কোরিয়াই দায়ী. জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

২০ মে ২০১০

চলতি বছরে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার বিবাদপূর্ণ সমুদ্রসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ বাহিনীর টহলদারি জাহাজ ডুবির ঘটনার তদন্ত রির্পোট প্রকাশ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NSpW
এই সেই জাহাজছবি: AP

বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার ডুবো জাহাজ থেকে ছুঁড়ে দেয়া টর্পেডোর আঘাতেই ঘটেছে এই ঘটনা৷ সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ব নেতৃত্বের মধ্যে৷

জাহাজডুবির এই ঘটনা তদন্তে নিয়োগ করা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং সুইডেনের বিশেষজ্ঞদের৷ তাদের প্রণীত রির্পোটে জাহাজ ডুবির দায় চাপানো হয়েছে উত্তর কোরিয়ার ঘাড়ে৷ মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে এই দুর্ঘটনায় মারা যায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৬ জন নৌ সেনা৷ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টহলদারি জাহাজটি কোন যান্ত্রিক কারণে নয়, ডুবে গেছে উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাতে৷ ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে আগেই তুলে আনা হয়েছিল তীরে৷ পুঙ্খনাপুঙ্খ ভাবে করা হয়েছে পরীক্ষা নিরীক্ষা৷

জাহাজ ডুবির এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বেশ বেকায়দায় পড়েছে উত্তর কোরিয়া৷ অবশ্য তাদের মন্তব্য হচ্ছে, তারা টর্পেডো ছোড়েনি৷ এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে তীব্র উত্তেজনা৷

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ভূত অবস্থায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে দক্ষিণ কোরিয় প্রেসিডেন্ট লি মিয়াং বাক জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন৷ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, তারা এর সমুচিত জবাব দেবে৷ তবে এর বিপরীতে উত্তর কোরিয়াও রয়েছে বেশ শক্ত অবস্থানে৷ তারা জানিয়ে দিয়েছে, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু করা হয়, তাহলে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত তারা৷

টানটান উত্তেজনার এ সময়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই তদন্ত প্রতিবেদনকে গভীরভাবে সমস্যা যুক্ত বলে অভিহিত করেছেন৷ অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীন দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷ চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মা ঝাওজু এই আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যে কোন ধরণের খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে সংযত আচরণ করুন৷

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের মন্তব্য হচ্ছে টর্পেডো ছুঁড়ে জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ৷ এটা কোন গ্রহণযোগ্য আচরণ নয় বলেও মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের৷ একই ধরণের মন্তব্য জানিয়েছে ব্রিটেন৷ অপরদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী হাতোয়ামা বলেছেন, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে উত্তর কোরিয়া, এটা নিন্দনীয়৷ তিনি বলছেন, জাপান প্রচন্ডভাবে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে৷ এখানে জানিয়ে রাখা ভালো যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়, তাহলে সবকটি সদস্য দেশকে একমত হতে হবে৷ এ ক্ষেত্রে চীন কি করবে সেটাই দেখার বিষয়৷ কারণ, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলে চীন বরাবরই ভেটো প্রয়োগ করেছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ