‘জার্মানির লজ্জা পাওয়া উচিত'
৩১ জুলাই ২০১৫দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সংবিধান অনুযায়ী আধুনিক ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন আশঙ্কা দূরে রাখার যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ কিন্তু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷
বিশেষ করে জার্মানির ফেডারেল অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত তৎপরতার অভিযোগ উঠছে৷ অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ জার্মানিতে ঢালাও নজরদারি চালানো সত্ত্বেও যে অ্যাটর্নি জেনারেল এতদিন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন, তিনি হঠাৎ এক জার্মান প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন তড়িঘড়ি করে এত সক্রিয় হয়ে উঠলেন? বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তাল হয়ে উঠেছে৷
যে প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ উঠেছে, সেই ‘নেৎসপোলিটিক ডট অর্গ' নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে ইংরাজি ভাষায় বিষয়টি তুলে ধরেছে৷
রাষ্ট্রের বেআইনি কার্যকলাপ ফাঁস করে দেওয়ার কাজ কি বেআইনি? উইকিলিক্স কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে এমন প্রশ্ন বার বার উঠছে৷ এই প্রসঙ্গে একটি ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করছেন অনেকে৷
জুলিয়ান আসঞ্জ ও এডোয়ার্ড স্নোডেন-এর সাম্প্রতিক কার্যকলাপের পর রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ তাই জার্মানির সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনাটি গভীর আগ্রহের সৃষ্টি করেছে৷ ড্যারেন কালব্রেথ খবরটি শেয়ার করেছেন৷
বেন ভাগনার মনে করেন, এমন এক অদ্ভুত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জার্মানরা যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনতে পারে, সেটা কেই ভাবতে পারেনি৷
এই ঘটনা হতবাক করে দিয়েছে ইসাবেল বুশকে-কে৷
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বচ্ছ প্রশাসনের উপর এমন হামলার জন্য জার্মানির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন জেফ জ্যারভিস৷
জেকব আপেলবাউম মনে করেন, ‘‘আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেৎসপোলিটিক-কে এমন অদ্ভুত দেশদ্রোহের অভিযোগ থেকে রক্ষা করা উচিত৷''
টমাস ড্রেক এ প্রসঙ্গে নাৎসি ও স্টাসি যুগে জার্মানির কালো অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ