জার্মানিতে সহিংসতার জন্য মুসলমান তরুণরা বেশি দায়ী: ম্যার্কেল
৫ সেপ্টেম্বর ২০১০জার্মানিতে যত সহিংস ঘটনা ঘটে তার জন্য অন্যান্যদের চেয়ে মুসলমান তরুণরা বেশি দায়ী৷ এমনটাই মনে করেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ জার্মানির জনপ্রিয় দৈনিক বিল্ড পত্রিকার রবিবারের সংস্করণ ‘বিল্ড আম জনটাগ' পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন৷
ম্যার্কেল বলেন, এটা একটা বড় সমস্যা এবং এটা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত৷ কিন্তু তাই বলে বিশেষ কোন ধর্মকে সহিসংতার সঙ্গে জড়ানোর ব্যাপারে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন৷ তরুণরা যেন অপরাধ থেকে ফিরে আসে সেজন্য দরকার ভাল শিক্ষার৷ সরকার সেটা দিচ্ছেও৷ কিন্তু সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে মা- বাবার, বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷
জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, যে শহরগুলোতে অভিবাসীর সংখ্যা বেশি সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখাটা একটু কঠিন৷ এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার একটা উপায়ের কথাও বলেছেন তিনি৷ তাঁর মতে, এর জন্য দরকার সরকারি চাকরিতে আরও বেশি করে বিদেশীদের নিয়োগ দেয়া৷ বিশেষ করে পুলিশ ও যুবকল্যাণ নিয়ে কাজ করে সরকারের যেসব কার্যালয় সেসব জায়গায় বেশি করে অভিবাসী নিয়োগ দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবেই৷
জার্মান চ্যান্সেলরের এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এলো যখন মুসলমান অভিবাসীদের নিয়ে করা এক মন্তব্যের কারণে চাকরি হারাতে বসেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বোর্ড সদস্য৷ তাঁর নাম টিলো জারাসিন৷ তিনি আবার প্রধান বিরোধী দল সামাজিক গণতন্ত্রী পার্টি বা এসডিপি দলেরও একজন সদস্য৷
নিজের লেখা একটি বইতে তিনি বলেছেন জার্মানিতে থাকা মুসলমান অভিবাসীরা যতটা না সমাজের উন্নতিতে কাজ করছে তার চেয়ে বেশি তারা সমাজের ক্ষতি করছে৷ তাঁর এই মন্তব্যের পর সারা জার্মানিতে আলোচনার ঝড় ওঠে৷ গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি ভোটাভুটি হয়েছে৷ যেখানে জারাসিনকে বহিস্কারের পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে৷ এখন অপেক্ষা জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফের জন্য৷ কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য তাঁর অনুমোদন প্রয়োজন৷
কিন্তু ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জারাসিন৷ তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যদি এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে তাহলে তিনি আদালতে যাবেন৷ এবং তাঁর বিশ্বাস, আদালত এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিবে৷ তবে শুধু ব্যাংক থেকেই নয়, দল থেকেও বাদ পড়তে পারেন জারাসিন৷ ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম