1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে তুরস্কের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' আসামি

১৭ আগস্ট ২০১৭

জার্মানিতে অবস্থানরত এক তুর্কি নাগরিককে বন্দি করে ফেরত পাঠাতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে তুরস্ক৷ পলাতক এই ধর্মতত্ত্বের শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত বছর তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2iOBt
ছবি: pictur- alliance/NurPhoto/A. Gocher

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভল্যুট চাভুশোলু জানিয়েছেন এরই মধ্যে জার্মানিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়েছে৷ তুর্কি টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি হাবেরকে চাভুশোলু জানান, ধর্মতত্ত্বের শিক্ষক আদিল ওকসুজকে জার্মানিতে দেখা গেছে, এমন তথ্য পাওয়ার পরই তারা বার্লিনের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি এই লোক সেখানে থাকে, তবে তাকে চিহ্নিত করে, গ্রেপ্তার করে তুরস্কের কাছে ফেরত পাঠানো হোক৷''

ওকসুজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ তুরস্ক সরকারের৷ ফেতুল্লাহ গুলেনকে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী করে আঙ্কারা৷

জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট এবং উলম শহরে ওকসুজকে দেখা গেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন গণমাধ্যমে৷ দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ বাডেন-ভ্যুরটেমবার্গে তাকে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়ারও তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে এ সব গণমাধ্যম৷

তুরস্কের মোস্ট ওয়ান্টেড

তুরস্ক সরকার বলছে, গত বছরের জুলাইয়ে বিমানবাহিনী যে সদস্যরা বোমা হামলা চালিয়েছিলেন, ওকসুজ তাদের ‘বেসরকারি ইমাম' ছিলেন৷

ওকসুজকে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর আকিনচি বিমান ঘাঁটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ কিন্তু দুই দিন পর তাকে ‘গুলেনপন্থি' এক বিচারক মুক্তির আদেশ দেন৷ তখন থেকেই পলাতক ওকসুজ আছেন তুরস্কের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়৷

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রকাশ করা এক ভিডিও ফুটেজে ওকসুজ ও তার সহকারি ব্যবসায়ি কেমাল বাটমাজকে ইস্তানবুলের মূল বিমানবন্দরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে৷ তুরস্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে ‘বৈঠক' করে ফিরছিলেন৷ তবে গুলেন বরাবরই এই অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷ ১৯৯৯ সাল থেকে পেনসিলভ্যানিয়ায় স্বেচ্ছানির্বাসনে আছেন গুলেন৷

বাটমাজকে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয়৷ এখন তার বিরুদ্ধে মামলা শুরুর অপেক্ষায় আছে৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্ক, যার মধ্যে সাংবাদিক এবং বিরোধী দলের নেতারাও আছেন৷

ব্যাপক হারে এই ধরপাকড়ের কারণে তুরস্ক-জার্মানি সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান বিরোধী মত দমন করতে অভ্যুত্থানের ঘটনাকে কাজে লাগাচ্ছেন৷

এডিকে/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য