1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে জোট সরকার গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক তৎপরতা

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

সংসদ নির্বাচনের পর সম্ভাব্য দুই ছোট শরিক দলের উদ্যোগে আলোচনা শুরু হচ্ছে৷ পারস্পরিক বোঝাপড়ার পর তারা সপ্তাহান্তে দুই বড় দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে৷ সব পক্ষই দ্রুত সরকার গড়তে আগ্রহী৷

https://p.dw.com/p/414Lo
Bundestag - Beginn der Haushaltswoche
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

জার্মানির সংসদ নির্বাচনে এই প্রথম কোনো দল যথেষ্ট শক্তিশালী না হওয়ায় আগামী জোট সরকার গড়ার কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে৷ সামান্য ব্যবধানে জয় সত্ত্বেও সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের সরকার গড়তে দু-দুটি শরিকের প্রয়োজন হবে৷ দ্বিতীয় স্থান পাওয়া সত্ত্বেও অংকের বিচারে ইউনিয়ন শিবিরও সেই দুটি দলের সঙ্গে সরকার গঠন করতে পারে৷ তাই ‘কিংমেকার' হিসেবে পরিবেশবাদী সবুজ দল ও উদারপন্থি এফডিপি দল সবার আগে মতপার্থক্য দূর করতে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেছে৷ বেশ কিছু নীতির প্রশ্নে দুই দলের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য থাকায় পারস্পরিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করা তাদের জন্য  জরুরি৷ সপ্তাহান্তে তারা দুই বড় দলের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা শুরু করতে চায়৷ আগামী সপ্তাহে শুক্রবার সবুজ দল ও এফডিপি আরও গভীর আলোচনায় বসবে৷

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে সরকার গড়ার পথ যথেষ্ট জটিল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠছে৷ ২০১৭ সালের নির্বাচনের পর সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় ছয় মাস লেগে গিয়েছিল৷ দলগুলির মধ্যে ঐকমত্যের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনায় আশার আলো দেখলে তবেই জোট গড়ার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়৷ সেখানে শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি  বিশেষজ্ঞরা মিলে অভিন্ন সাধারণ কর্মসূচি রচনার উদ্যোগ নেন এবং মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে দরকষাকষি করেন৷ কোয়ালিশন চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হলে শরিক দলগুলিকে হয় বৃহত্তর নেতৃত্ব অথবা সব সদস্যদের সমর্থন আদায় করতে হয়৷ তারপর চুক্তি স্বাক্ষর হলে সরকার গড়ার পথ প্রশস্ত হয়৷

এবার সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে নতুনত্ব দেখা যাচ্ছে৷ এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎস এবং ইউনিয়ন শিবিরের নেতা আর্মিন লাশেট দুজনেই সরকার গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে দুজনকেই সবুজ ও এফডিপি দলের সমর্থন আদায় করতে হবে৷ প্রতিযোগিতার এই পরিবেশে নিজেদের গুরুত্ব বুঝে এই দুই দল নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার পর দুই বড় দলের প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে চায়৷ ফলে সরকার গড়ার উদ্যোগ পেছন থেকে শুরু হচ্ছে৷ তবে সব পক্ষই সময় নষ্ট না করে দ্রুত সরকার গড়ার অঙ্গীকার করছে৷ উল্লেখ্য,  বুধবার জানা গেছে যে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ইউনিয়ন শিবিরের নেতা লাশেট দুজনেই শলৎসকে জয়ের জন্য লিখিত অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা মার্কুস স্যোডার আগেই প্রকাশ্যে সেই কাজ করেছেন৷

সবুজ দলের নেতা আনালেনা বেয়বক জানিয়েছেন, তার দল রোববার এসপিডি দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় বসবে৷ আগামী সপ্তাহে ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গেও আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে৷ এফডিপি নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার জানিয়েছেন, তার দল শনিবার ইউনিয়ন শিবির এবং রোববার এসপিডির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় বসছে৷ আদর্শগত মিলের কারণে এফডিপি ইউনিয়ন শিবির এবং সবুজ দল এসপিডির সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রহী৷

একাধিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানির মানুষ ওলাফ শলৎসকে আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চান৷ সেইসঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রাজনীতির আঙিনা থেকে লাশেটের সরে দাঁড়ানোর পক্ষে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য