জার্মানি-আর্জেন্টিনা’র বাকযুদ্ধ, খেলার আগেই
২ জুলাই ২০১০অবশ্য প্রতিযোগিতার আগে প্রতিপক্ষকে গাল দেওয়া, এমনকি মেকি লড়াই করার প্রথাও অনেক উপজাতির মধ্যে পাওয়া যায়৷ মোট কথা, জার্মান তরফে ‘‘গাউচো'', অর্থাৎ আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের মাথাগরম এবং রেফারি'র প্রতি শ্রদ্ধাহীন বলে গাল দেওয়া থেকেই গোটা মনস্তাত্ত্বিক লড়াই'এর সূচনা৷ বাস্টিয়ান শোয়াইস্টাইগারের আদত অভিযোগ ছিল, আর্জেন্টাইনরা প্ররোচনায় ওস্তাদ৷ তার পরদিনই ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম যোগ করেন যে, দক্ষিণ আমেরিকার মানুষজন আবেগপ্রবণ এবং তারা হেরেও হার মেনে নিতে পারে না৷
আর্জেন্টিনার কোচ দিয়েগো মারাদোনা'র জবাব: জার্মানরা নার্ভাস হয়ে পড়েছে৷ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ডেমিকেলিস বলেছে, উত্তর যা দেবার, খেলার মাঠেই দেওয়া হবে৷ কার্লোস টেভেজ বলেছে, ২০০৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্লিনের পেনাল্টি শুটআউটের জন্য প্রতিশোধ নেওয়া হবে৷
জার্মান কোচ কিংবা তাঁর অপরাপর সহযোগীরা কিন্তু এই হাওয়া গরম করার প্রবণতায় সায় দিয়ে যাচ্ছেন৷ কখনো ম্যানেজার অলিভার বিয়ারহোফ আর্জেন্টাইনদের তকরার এবং প্ররোচিত করার প্রবণতার কথা বলছেন৷ কখনো জার্মান ডিফেন্সের আর্নো ফ্রিডরিশ বলছেন, ‘‘ওদের ও'সব খেলা আমরা চিনি''৷ - মোট কথা, বাতাসে বারুদের গন্ধ৷ কাজেই জার্মান দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মিরোস্লাভ ক্লোজে'র ভবিষ্যদ্বাণীটাই বোধহয় ঠিক: খেলাটা খুব গাঁটের হবে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই