জার্মানদের সম্পর্কে জেনে নিন কিছু কথা
জার্মানরা নিজেদের কতটা সুস্থ মনে করেন কিংবা কোন অসুখকে বেশি ভয় পান? জার্মানরা কি সত্যিই পরিবেশ সচেতন নাকি আজকাল প্রযুক্তির দিকেই বেশি ঝুঁকছেন তাঁরা? জার্মানদের নিয়ে এ রকম নানা প্রশ্নের উত্তর পাবেন ছবিঘরে৷
৮৮ শতাংশ জার্মানই সুস্থ!
জার্মানিতে শতকরা প্রায় ৮৮ ভাগ মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তুষ্ট৷ শারীরিক তো বটেই, মানসিকভাবেও তাঁরা নিজেদের বেশ সুস্থই মনে করেন৷ এই তথ্য জানা গেছে জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানি ডিএকে-র করা এক সমীক্ষা থেকে৷
জার্মানদের খাওয়ার নমুনা
স্বাস্থ্যের জন্য তা যত খারাপই হোক না কেন, টিভি দেখার সময় অনেক জার্মানই চিপস বা এ জাতীয় কিছু খেতে ভালোবাসেন৷ লন্ডনভিত্তিক মিন্টেল গ্রুপের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায় শতকরা ৭০ জন জার্মান টিভি দেখার সময় নিয়মিত ‘স্ন্যাক্স’ খেয়ে থাকেন, যা কিনা ইউরোপের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি৷ শুধু তাই নয়, জার্মানরা নাকি কম্পিউটারে কাজ করার সময়ও কিছু না কিছু মুখে দেন৷
প্রেমের ব্যাপারে সচেতনতা
অনলাইনে কেনাকাটার ব্যাপারে শতকরা ৮১ জন জার্মানই নাকি শিপিং প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরোপুরি বিশ্বাস রাখেন৷ তবে ভালোবাসা বা প্রেমের ব্যাপারে অন্যের কথাকে একেবারেই বিশ্বাস করেন না তাঁরা৷ বরং এক্ষেত্রে শতকরা ৮৭ জন জার্মানই নিজের মন ‘কী’ বলে সেটা শোনেন৷ এই তথ্য জানা গেছে জার্মানির সবচেয়ে বড় মার্কেট রিসার্চ ইনস্টিটিউট জিএফকে-র করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে৷
পরিবেশ সচেতনতা না প্রযুক্তিপ্রেম?
জার্মানদের মধ্যে শতকরা ৪৬ জন মনে করেন যে, পরিবেশের চেয়ে প্রযুক্তি বা কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা বেশি জরুরি৷ বন শহরে অবস্থিত ইনস্টিটিউট ফর ডেমোস্কোপি আলেন্সবাখ-এর করা একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷ এক্ষেত্রে যাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁদের চার ভাগের একভাগই খুব জোর দিয়ে এ কথা জানান৷ এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত জনমানসের ওপর গবেষণা করে থাকে৷
জার্মানদের ভয়
জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানি ডিএকে-র করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ১০টি বড় অসুখের মধ্যে মারণব্যাধি ক্যানসারকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শতকরা ৬৯ ভাগ জার্মান৷ ক্যানসারের পরেই আছে আলৎসহাইমার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং দুর্ঘটনার ভয়৷ এছাড়াও জার্মানদের মধ্যে মানসিকরোগ বা ডিপ্রেশন, অন্ধ হয়ে যাওয়া, ডায়বেটিস, ফুসফুসের অসুখ এবং এইডস-এ আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে৷
অহেতুক ভাবনা
কোমর ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, এমন মানুষের সংখ্যা জার্মানিতে দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ তবে এতে রোগীরা আতঙ্কিত হলেও, ডাক্তারা তেমন ভীত নন৷ কারণ ব্যার্টেলসমান ফাউন্ডেশন-এর করা এক সমীক্ষা থেকে বেরিয়ে এসেছে যে, কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত প্রতি দু’জনের মধ্যে আদতে শুধুমাত্র একজনের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার হয়৷ এছাড়া শতকরা মাত্র ১৫ জনের ডাক্তারি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় কোমারের ব্যথায়৷
ভাগ্য বা রক্ষাকবচ
আপনি কি ভাগ্যে বিশ্বাসী? আপনার উত্তর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ যাই হোক না কেন, শতকরা ৩৯ ভাগ জার্মান মহিলা কিন্তু ভাগ্যে বিশ্বাসী৷ এই জন্যই তো তাঁরা কুড়িয়ে পাওয়া এক পয়সার কয়েনটি যত্ন করে তুলে রাখেন ব্যাগে, সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে৷ কখনও আবার ছোট্ট একটা খেলনার শুকরের ছানা রেখে দেন ঘরে৷ পুরুষরা অবশ্য এ সব নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামান না৷
পারকিনসন্স
কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের হাত-পা বা শরীরের অন্যান্য অংশ অনবরত কাঁপতে থাকে৷ এটা আসলে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত একটা রোগ, যার নাম পারকিনসন্স৷ জার্মানিতে এ রকম রোগীর সংখ্যা প্রায় এক মিলিয়ন৷ এঁদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এতটাই কাঁপে যে এতে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও বাধাগ্রস্ত হয়৷ ল্যুবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা এই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রেইন ম্যাগাজিন৷