1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান সেনাবাহিনীতে বিদেশিদের প্রবেশ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে

২৪ মার্চ ২০১১

জার্মান সরকার ভাবনা-চিন্তা করছেন, যে সব বিদেশি নাগরিক এদেশে স্থায়ী বাসিন্দা, তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন৷ অ্যামেরিকায়, ব্রিটেনে, ফ্রান্সে সেনাবাহিনীতে বিস্তর বিদেশি আছে৷

https://p.dw.com/p/10gd5
জার্মান সেনাবাহিনীতে বিদেশিদের নেয়ার চিন্তাভাবনাছবি: picture-alliance/dpa

সত্যজিৎ রায়ের গুগাবাবা অর্থাৎ ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন' ছবিতে একটি সংলাপ আছে: ‘‘রাজকন্যা কি কম পড়িয়াছে?'' কম পড়লে পূরণ করতে কতক্ষণ! সমস্যা সমাধানে সমস্যা নেই৷ পাত্র তো আছেই৷ পাত্র বিদেশি হলেও জার্মানিবাসী হলেই চলবে৷

সপ্তাহ চারেকও হয়নি, বহু কেলেঙ্কারি গায়ে মেখে কার্ল-টেওডোর সু গুটেনব্যার্গ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন৷ মন্ত্রী থাকাকালীন কিছু ভালো উদ্যোগও নিয়েছেন৷ যেমন প্রতিরক্ষায় তরুণদের বাধ্যতামূলক যোগদান বন্ধ করা এবং প্রশিক্ষণের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া৷ প্রতিরক্ষার কাজে যোগ না দিলে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নিতে পারবে৷ বেকারত্ব দূরীকরণে ভিন্নধারার পদক্ষেপ৷

তাঁর ৭৩ পৃষ্ঠার দলিলে এও বলেছেন, তরুণদের নানামুখী প্রতিভাকে কাজে লাগানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব৷ তাঁরই প্রস্তাব, যে সমস্ত বিদেশি জার্মানিতে বসবাস করছেন, প্রতিরক্ষার কাজে অংশ নেওয়ায় কোনো বাধা নেই৷ তা হলে কি রাজকন্যা কম পড়িয়াছে এখন? ভবিষ্যতে যে আরো পড়বে, সন্দেহ নেই৷ অ্যামেরিকায়, ব্রিটেনে, ফ্রান্সে সেনাবাহিনীতে বিস্তর বিদেশি আছে৷ এর মধ্যে শ্বেতাঙ্গ-অশ্বেতাঙ্গ মিলেমিশে আছে৷ কাজ করছে৷

একজন বলেন, এদেশের নাগরিকত্ব নেবে, সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে না, তা হয়না৷ সরকারের উচিত ছিল অনেক আগেই এই উদ্যোগ নেওয়া৷ আরেক জন বলেন, বিদেশিরা এদেশের নাগরিক হয়ে যদি প্রতিরক্ষায় অংশ নেয়, তা হলে আমাদের সেনাবাহিনীতে মিশ্র সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণের বিরোধ থাকবে না৷ অন্য একজন বলেন, জার্মানিতে সৈন্যের দরকার নেই৷ যত কম থাকবে ততই মঙ্গল, ততই শান্তি৷ এদেশে একদা সৈন্যরা কি করেছে, সেই ইতিহাস, সেই কালিমা এখনো মুছে যায় নি৷ দিনকাল পাল্টালেও অতীত-গন্ধ লেপ্টে আছে আমাদের গায়ে৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন