জার্মান সমাচার দর্পণে ইরাক যুদ্ধ
২০ মার্চ ২০০৮বিশেষ করে মার্কিণ প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তাঁর ইরাক নীতিতে অটল থাকছেন, এ-ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবার পরে, জার্মান পত্রপত্রিকায় ধিক্কারের সঙ্গে মিশেছে কিছুটা ক্ষোভ৷ যেমন Mitteldeutsche Zeitung লিখছে:-
যুদ্ধের পাঁচ বছর পরেও এই যুদ্ধ মার্কিণ সমাজজীবনে তার স্থায়ী জায়গা বজায় রাখতে পেরেছে৷ তাকে পরিবারের একজন অপ্রিয় সদস্যের মতো মেনে নেওয়া হয়েছে৷ ওদিকে আবার একটা খারাপ, পুরনো রোগের মতো তাকে ভোলবার প্রচেষ্টাও আছে৷
Flensburger Tagesblatt লিখছে:-
যে ভুল করে, তাকে তার দামও দিতে হয়৷ মার্কিণীদের অবস্থাও আজ তাই৷ পাঁচ বছর আগে তারা অবিবেচকের মতো এবং বে-আইনীভাবে ইরাকে অনুপ্রবেশ করে৷ আজ সেখানে একটা ধ্বংসস্তূপ৷ রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক, সব বিচারেই এই যুদ্ধ একটি বিরাট ভুল ছিল৷
Dresden-এর Sächsische Zeitung-এর মতে:-
ইরাককে এক একনায়কের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে৷ শত প্রচেষ্টাতেও এই অর্থহীন যুদ্ধ সম্পর্কে এর চাইতে বেশী ইতিবাচক কিছু বলা যায় না৷ এমন একটি যুদ্ধ, যার সূচনাই মিথ্যা এবং প্ররোচনার ভিত্তিতে, যাতে কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধি নিশ্চয় হয়েছে, ঐ এক ইরাকী জনগণ বা রাষ্ট্রের ছাড়া৷
Würzburg-এর Main-Post লিখছে:-
আবু ঘ্রেইব্ কারাগারের নিপীড়নকক্ষের ছবিগুলোতেই কর্ম সাবাড়: মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্র যে অজ্ঞানের অন্ধকারে গণতন্ত্রের জ্বলন্ত মশাল নিয়ে যেতে পারে, এ-কথা আর কেউ বিশ্বাস করে না৷
Leipziger Volkszeitung কিন্তু স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যে:
অন্যান্য ইওরোপীয়দের মতো জার্মানদেরও কিন্তু হাসার কিংবা অবজ্ঞা করার কোনো কারণ নেই৷ কেননা দোষ কিংবা ভুলভ্রান্তির সব হিসেবনিকেশ ছাড়িয়ে মনে রাখতে হবে, যে ইরাক এবং গোটা অঞ্চলটির স্থায়িত্ব জার্মানীর স্বার্থেও বটে৷