1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান প্রেসিডেন্ট

২৬ জুন ২০১২

জার্মানির নতুন প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক’এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে একশো দিন পূর্ণ হল৷ ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ’এর পর তিনি জার্মানির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন৷

https://p.dw.com/p/15LBE
ছবি: dapd

প্রচার মাধ্যমগুলো প্রেসিডেন্ট গাউক’এর প্রতিটি কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরছে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে৷

গত একশো দিন ধরে প্রেসিডেন্ট গাউক শুধু একটি শব্দই উচ্চারিত করেছেন৷ শুধু জার্মানি নয়, যখনই যে দেশে বা যে প্রান্তে তিনি গিয়েছেন উচ্চারণ করেছেন কাঙ্খিত শব্দটি৷ শব্দটি হল – স্বাধীনতা৷ সাবেক পূর্ব জার্মানির রস্টক শহরে যাজক হিসেবে কাজ করেছেন ৭২ বছর বয়সী ইওয়াখিম গাউক৷ তিনি সবসময়ই স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলতেন৷ তবে এও তিনি জানাতেন যে স্বাধীনতার সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে জড়িত রয়েছে দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ জার্মানির জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘স্ট্যার্ন' একটি জরিপে জানিয়েছে, যে গোটা জার্মানির প্রায় ৭৮ শতাংশ জনগণ প্রেসিডেন্ট গাউক'এর কাজে সন্তুষ্ট৷ এর মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশ একটু বেশি সন্তুষ্ট অর্থাৎ ইওয়াখিম গাউক'কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়ে তারা গর্বিত৷ তবে বিরোধিতা করতেও অনেকে পিছপা হননি৷ প্রায় ৯ শতাংশ বলেছেন প্রসিডেন্ট গাউক তাঁর দায়িত্ব ঠিকমত পালন করতে পারছেন না৷

Joachim Gauck Schloss Bellevue
প্রায় ৭৮ শতাংশ জার্মান প্রেসিডেন্ট গাউক'এর কাজে সন্তুষ্টছবি: picture-alliance/dpa

স্বাধীনতা কত জরুরি বা প্রয়োজনীয়?

প্রেসিডেন্ট গাউক স্বাধীনতাকামী, স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন এবং প্রয়োজনে লড়বেন৷ এই চিন্তা ভাবনা অনেক রাজনীতিকের কাছে ছিল ইতিবাচক৷ আর ঠিক এ কারণেই জার্মান সংসদে উদারপন্থী এবং আঙ্গেলা ম্যার্কেল'এর সিডিইউ গাউক'কে প্রেসিডেন্ট করার জন্য তোড়জোড় করেছিলেন৷ জার্মান সংসদে উদারপন্থীদের সচিব ইয়র্গ ফান এসেন জানান, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট সারাক্ষণই আমাদের স্বাধীনতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এটা খুব জরুরি৷ স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের জন্য কতটা অর্থবহ তিনি আমাদের তা ক্ষণে ক্ষণে জানিয়ে দিচ্ছেন৷''

তবে বিপরীত ধর্মী কথাও বলছেন অনেকে৷ লেখক আলব্রেশ্ট ম্যুলার লিখেছেন একটি বই, যার নাম ‘ডেয়ার ফাল্শে প্রেসিডেন্ট' অর্থাৎ ‘ভুল রাষ্ট্রপতি'৷ তিনি বেশ স্পষ্ট করেই বলেছেন যে, গাউক শুধু ধনীদের কথা ভেবেছেন এবং ভাবেন৷ তাদের নিয়ে গাউক চিন্তিত৷ যারা সমাজে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন, তাদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট গাউক'এর মাথাব্যথা কম৷ ম্যুলার প্রশ্ন করেছেন, ‘‘মেকলেনবুর্গ ফোরপমার্ন রাজ্যের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বেকারত্ব অত্যন্ত বেশি৷ এরা কাজ খুঁজে পেয়েছে মিউনিখে৷ সারা সপ্তাহ এরা মিউনিখে কাজ করে এবং সপ্তাহান্তে ফিরে যায় মেকলেনবুর্গে, তাদের পরিবারের কাছে৷ এতে কোন ধরণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট গাউক?'' তিনি আরো জানান, গোটা জার্মানিতে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ রয়েছে যারা সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে৷ তাদের কাছে স্বাধীনতা শব্দের অর্থ খুবই সীমিত৷

Bild.
তবে কেউ কেউ বলেন গাউক শুধু ধনীদের কথা ভেবেছেন এবং ভাবেনছবি: dapd/Loos

ইউরো সঙ্কোটে গাউক একজন হুমকিস্বরূপ?        

ইউরো সংকটের এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট গাউক জানিয়েছেন, বিশ্বায়নের এই যুগে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্ত-সামর্থ্য হতে হবে৷ ভেঙে পড়লে বা পিছিয়ে পড়লে চলবে না৷ এ প্রসঙ্গে আলব্রেশ্ট ম্যুলার জানয়েছেন, ‘‘জার্মানিতে এখনো অনেক মানুষ রয়েছে যারা গ্রিকদের সস্তা পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নিতে চায়৷ এরা জার্মানিতে আসবে এবং অত্যন্ত কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে খাটবে৷'' আক্ষেপের সঙ্গে জানান, এটা অত্যন্ত দূর্বল মানসিকতার প্রতিচ্ছবি৷ নীতি-নৈতিকতাহীন মানুষই শুধু এরকম কথা বলতে পারে৷

প্রতিবেদন: রিচার্ড ফুখ্স / এমজে

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য