জার্মান তরুণীর দীর্ঘ অপেক্ষা, অবশেষে সাফল্য
টেনিসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছেন ১২ বছর ধরে৷ এতদিনে এলো বলার মতো সবচেয়ে বড় সাফল্য৷ এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মেয়েদের একক জিতে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার স্বপ্ন পূরণ করলেন জার্মানির আঞ্জেলিক ক্যারবার৷
অপেক্ষার শুরু এক যুগ আগে
পেশাদার টেনিসে শুরুটা হয়েছিল ২০০৩ সালে৷ আঞ্জেলিকের বয়স তখন ১৫ বছর৷ ব্রেমেনে জন্ম হলেও টেনিসের জন্যই সেই শহর ছেড়ে বাবা-মা-র সঙ্গে কিলে চলে যান আঞ্জেলিক৷ পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হবার স্বপ্নে অবিচল হওয়ার পর স্বপ্ন পূরণে মাত্র তিন বছর সময় নিয়েছেন ক্যারবার৷
গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম রাউন্ডেই বাধা
পেশাদার টেনিসে নাম লেখানোর তিন বছরের মাথায় প্রথম ‘মেজর’ শিরোপা জিতেছিলেন ক্যারবার৷ ২০০৭ সালে মেয়েদের টেনিস ব়্যাংকিংয়ে একশ’ নাম্বারের মধ্যে স্থান করে নেন৷ সে বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনেও কোয়ালিফাই করেছিলেন৷ কিন্তু প্রথম রাউন্ড পেরোতে পারেননি৷
এক বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ড
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিলেন ক্যারবার৷
শেষের কাছাকাছি
২০১১ সালে হতাশায় টেনিস ছেড়ে দেয়ার কথাও ভেবেছিলেন৷ পরে একসময় নতুন উদ্যমে শুরু করেন টেনিস৷ টানা ম্যাচ জিতে উঠে গেলেন ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে৷ সেখানে হেরে গেলেও ক্যারবারের মনে আশা জেগেছিল, ধৈর্য ধরলে তিনি পারবেন৷
স্মরণীয় ২০১২
সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের সেরা ১০ এবং অক্টোবরে সেরা ৫ জন মেয়ে টেনিস খেলোয়াড়দের একজন হয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন ক্যারবার৷ সেরেনা উইলিয়ামসকেও সেবারই প্রথম হারিয়েছিলে ক্যারবার৷
২০১৫: ধারাবাহিক সাফল্যের বছর
মেয়েদের টেনিসে জার্মানির সেরা খেলোয়াড় ক্যারবার চারটি ডাব্লিউটিএ শিরোপা জেতেন ২০১৫ সালে৷ বছরটা তাই ছিল বড় বেশি আশা জাগানিয়া৷
অবশেষে....
বছরের শুরুতেই সেই আশার পথে চলা শুরু৷ বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্য্যামে ধাপে ধাপে উঠতে উঠতে একেবারে ফাইনালেই উঠে গেলেন আঞ্জেলিক ক্যারবার৷ ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেরেনা উইলিয়ামস৷ তাঁকে হারিয়েই ২৮ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক শিরোপা জিতেছেন ক্যারবার৷