1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ

১২ মার্চ ২০১১

তীব্র ভূমিকম্প এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ফুকুশিমার একটি পরমাণু কেন্দ্রে বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ দূর থেকেও সেই পরমাণু কেন্দ্রের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/10Y1D
ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণছবি: AP

নিহত সহস্রাধিক

সুনামির আঘাতে সেখানে এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷ টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি আহত বা নিহত হবার খবর তারা পাননি৷

ফুকুশিমায় বিস্ফোরণ

জাপানি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় দ্রব্যাদী অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ সেখানে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ তীব্র ভূমিকম্পের ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ফুকুশিমা এক এবং ফুকুশিমা দুই নামক আণবিক চুল্লি দু'টির শীতল করার প্ল্যান্ট খারাপ হয়ে যায় গতকালই৷ ফলে দু'টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়৷ প্রচণ্ড শব্দে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছে জাপানি সরকারি টেলিভিশন এনএইচকে৷ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালক টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি এই বিস্ফোরণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে৷

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার ঐ দুই কেন্দ্রের মধ্যে এক নম্বরটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে৷ রাজধানী টোকিও থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কেন্দ্রের আশেপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকা থেকে সকল মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারীরা৷ দেশটির অগ্নিনির্বাপক দলের একটি বিশেষ ইউনিট কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করছে৷

জনগণের প্রতি অনুরোধ

টেলিভিশনের সংবাদে ১০ কিলোমিটার বিশেষ নিরাপত্তা এলাকার বাইরের মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উদ্ধারকারী দল না আসা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে৷ অনুরোধ জানানো হয়েছে এয়ারকন্ডিশান মেশিন না চালানোর এবং কলের পানি না পান করার জন্য৷ ফুকুশিমায় প্রায় ৩ কোটি মানুষের বাস৷ কিয়োদো সংবাদ সংস্থার বিবরণ অনুযায়ী ফুকুশিমা এক'এর নিয়ন্ত্রণকক্ষে সাধারণের চেয়ে একহাজার গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা মাপা হয়েছে৷

সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

এদিকে, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো৷ এ অবস্থায় সেখানে আন্তর্জাতিক বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে সে দেশের সরকার৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই জাপানকে সব ধরণের সহায়তা দেবার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জাপানিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমরা আপনাদের বলতে চাই, এই দুঃসময়ে জার্মানি আপনাদের পাশে আছে৷ জাতিসংঘ জাপানকে উদ্ধারকার্যে সহায়তার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে৷

কোন বাংলাদেশি হতাহতের খবর নেই

এদিকে, জাপানে বাংলাদেশিরা কেমন আছেন- এ সম্পর্কে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূইয়া ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, গতকাল টেলিযোগাযোগে সমস্যা সৃষ্টি হয়৷ আজ সব দিক থেকে খবর নেয়া হচ্ছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত সুনামিতে কোন বাংলাদেশি হতাহতের খবর আসেনি৷ দূতাবাস সকলের খোঁজ নিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি জানিয়েছেন, যে এলাকায় পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে বাংলাদেশি আছেন৷ সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ কিন্তু বাংলাদেশি কোন নাগরিক আহত বা নিহত হবার কোন সংবাদ পুলিশ জানাতে পারেনি৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য