1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানের ইতিহাস বিকৃতিকে কেন্দ্র করে চীনে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদ আন্দোলন

১১ এপ্রিল ২০০৫

চীনের ওপর জাপানী সেনাদের চালানো চরম অত্যাচারের ইতিহাস সম্পূর্ণ চেপে যেতে চাইছে জাপান৷ জাপানী স্কুলের পাঠ্য বইতে সেই ইতিহাসবিকৃতি ঘটানোর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে চীনে৷ রাজধানী বেইজিং এর জাপানী দূতাবাসও আক্রান্ত হয়েছে এই ঘটনার জের ধরে৷ পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করেছে য

https://p.dw.com/p/DPws
ছবি: AP

�� পরিস্থিতি সামলাতে বিবৃতি দিতে হয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমিকে৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীন জাপান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চীনের সাধারণ মানুষের ওপর জাপানী বাহিনীর অত্যাচারের ইতিহাসকে স্কুলপাঠ্য ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে উড়িয়ে দিয়েছে জাপান৷ চীনের সাধারণ মানুষের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ চীনের অভ্যন্তরে জাপান বিরোধী সেন্টিমেন্টের সেই ধুঁইয়ে জ্বলা আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে গত সপ্তাহান্তে বেইজিং এ চীনা ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি৷ জাপানকে তাদের এই ইতিহাস বিকৃতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেই বিক্ষোভ শুরু করে চীনা ছাত্ররা৷ পরে সেটা ক্রমশ বড়সড় চেহারা নেয় এবং আক্রান্ত হয় বেইজিং শহরের জাপানী দূতাবাস৷ গত শনিবার বেইজিং এর জাপানী দূতাবাসের সামনে সাধারণ একটি বিক্ষোভে যোগ দেয় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী৷ দূতাবাসের উদ্দেশে বোতল, পাথর ছোঁড়া হয়, দূতাবাস কর্মীদের মধ্যে কয়েকজনকে হাতে পেয়ে তাঁদের ওপরেও ঝাঁপিয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই বেইজিং এর একটি জাপানী রেস্তোঁরায় চড়াও হয় কিছু বিক্ষোভকারী৷ চীনের অভ্যন্তরে জাপানী পণ্যের বাণিজ্য এবং বিক্রয় বন্ধ করার হুমকি দিয়ে শ্লোগান ওঠে৷

পরিস্থিতি ক্রমশ গণ আন্দোলনের চেহারা নিতে চলেছে তা লক্ষ্য করে চীন সরকার জাপানকে ওই স্কুলপাঠ্য বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছে৷ এখানে প্রাসঙ্গিক, চীনের সবকটি প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা সাধারণ চীনা নাগরিকগের মধ্যে তীব্র জাপান বিরোধী মনোভাবের কথা জানিয়েছে গতকাল৷ এর সমর্থনে তারা যে তথ্য দিচ্ছে তাতে একটি জনমত সমীক্ষার ফলাফল রয়েছে৷ চীনের সামাজিক সমীক্ষা দপ্তরের করা ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, রাজধানী বেইজিং সহ চীনের সাংহাই, গুয়াংঝাউ এবং আরও ছয়টি বড়ো শহরে মূলত প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় দশহাজার নাগরিক বলেছেন, ভয়ংকর ভাবে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে চীনের ভাবমূর্ত্তি কলঙ্কিত করে চলেছে জাপান৷

ইতিহাস বিকৃতির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য না করে পাল্টা চীনে বসবাসকারী জাপানী নাগরিকদের নিরাপত্তা চীনকেই সুনিশ্চিত করতে হবে এমন দাবি তুলেছে জাপান৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি এ প্রসঙ্গে গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীনের এ ধরণের জাপান বিরোধী আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর প্রতিকারে এগিয়ে আসার দায়িত্ব চীন সরকারের৷ সেই সঙ্গে চীনের অভ্যন্তরে জাপানী ব্যবসা বাণিজ্যের এবং জাপানী নাগরিকদের নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব অবশ্যই চীন সরকারকে নিতে হবে বলে বিবৃতি দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি৷

বেইজিং এর অভ্যন্তরে জাপান বিরোধী বিক্ষোভ ক্রমশ আরও বেড়ে যাবার আশঙ্কায় চীন সরকার গতকাল সোমবার থেকে জাপানী দূতাবাসের সামনে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা করেছে, তবে বেইজিং সহ চীনের সর্বত্রই খানিকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জাপানের নাগরিকরা৷

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়